কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পুরস্কার হিসেবে শিল্পখাতের অন্যতম সম্মাননা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ পেয়েছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড। দেশের একমাত্র সেরা কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে হিসেবে এই বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো রিমার্ক। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই অ্যাওয়ার্ড শিল্পখাতের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি। 

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে রিমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া ও পরিচালক আলমগীর আলম সরকারের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.

) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

দেশের অন্যতম প্রধান কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্কের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধাসম্পন্ন ফ্যাক্টরি বাংলাদেশের কসমেটিকস খাতের প্রথম এবং পাইওয়নিয়ার। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার উৎপাদক কোনো প্রতিষ্ঠান এই অ্যাওয়ার্ড লাভ করলো।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এম সাখাওয়াত হোসেন রিমার্কের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, কসমেটিকসের বাজারে বিশ্বস্ততা এনে দিয়েছে রিমার্ক। মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তারা। বিদেশি ক্রেতাদের কাছেও এখন বাংলাদেশি কসমেটিকস সমাদৃত হচ্ছে।

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, আজ রিমার্কসহ যেসব প্রতিষ্ঠান অ্যাওয়ার্ড পেলো তাদের দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। দেশ এবং দেশের মানুষের স্বার্থে পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে রিমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ রিমার্ক এইচবির উৎপাদন প্রক্রিয়া সিজিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস সার্টিফিকেট) এবং আইএসও স্বীকৃত যা নিশ্চিত করে যে, সব পণ্য সর্বোচ্চ গুণগত ও নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসারে তৈরি করা হয়। এই উৎকর্ষতার প্রতিশ্রুতি রিমার্ক এইচবি লিমিটেডকে বাংলাদেশের কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্পে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পাশাপাশি দেশে হালাল কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য উৎপাদনে একটি মাইলফলক অর্জন করেছে।

রিমার্ক এর আগে বাংলাদেশের কারখানায় উৎপাদিত গ্লোবাল ব্র্যান্ডের পণ্য নিয়ে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কিনকেয়ার প্রদর্শনী দুবাই ডার্মায় অংশ নেয়। সেখান থেকেও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ পায়।

২৫ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্যের প্রদর্শনী কসমোপ্রফ (সিবিই আশিয়ান)-২০২৫ এ অংশ নিচ্ছে রিমার্ক। এই প্রদর্শনীতেও বাংলাদেশে উৎপাদিত কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রায় ৫ শতাধিক পণ্য প্রদর্শিত হবে। আশা করা হচ্ছে থাইল্যান্ডের বাইরেও আশিয়ান দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ নতুন রপ্তানি আদেশ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি) এর জেনারেল সেক্রেটারি জামাল উদ্দীন বলেন, রিমার্ক এইচবি লিমিটেড এর এই ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমিয়েছে। এতে যেমন উন্নত মানের পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করেছে, তেমনি বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করেছে। দেশে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়তে বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা যতটুকু দেখেছি, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে আমাদের দেশে রিমার্কের উৎপাদিত কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং অনেক উন্নত।

উদ্ভাবনী দক্ষতা, সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত মানের ওপর জোর দিয়ে কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে রিমার্ক। নিবিড় গবেষণা ও অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে কার্যকরী ও নিরাপদ স্কিনকেয়ার সমাধান দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে একদিকে যেমন আমদানি নির্ভরতা কমছে, অন্যদিকে রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সমৃদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

লাখো ভোক্তার আস্থা অর্জন করে রিমার্ক এইচবি দক্ষিণ এশিয়ায় কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। গুণগত মান, সাশ্রয়ী মূল্য ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এই শিল্পে একটি নতুন সংজ্ঞা রচনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ত্বকের নানান সমস্যার সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে রিমার্কের গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো। এরইমধ্যে, রিমার্কের আন্তর্জাতিক পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশে উৎপাদিত কসমটিকস ও স্কিনকেয়ার পণ্য অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং নতুন নতুন গন্তব্যে রপ্তানি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র র ম র ক এইচব র ম র ক এই উৎপ দ ত প রদর শ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি, প্রতিবাদ করায় ১৩ জনকে শোকজ

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত আহ্বায়ক ও হল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, মাদক ও ছিনতাইয়ের দায়ে বহিষ্কৃতসহ নানা বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলে এর প্রতিবাদ করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ১৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। এর মধ্যে যুগ্ম-আহ্বায়ক ছয়জন এবং সদস্য রয়েছেন সাতজন।

রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুন:

জাকসু তফসিল ঘোষণা, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন

জাবি শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগসহ অন্যরা

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ছয় যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন, মিজানুর রহমান, মো. হোসাইন আল রাসেদ বাদল, মমিনুর রহমান লাজু, আলাউদ্দিন দেওয়ান, রাজুয়ার হোসাইন, মো. জোবায়ের হোসাইন।

সদস্যরা হলেন- মাহবুবুর রহমান মুরাদ, জাকিরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, মির্জা আবু বকর সিদ্দিক সোহাগ, মাসুদ রানা পাইলট মিস্ট, আবেশ আল মুবিন নাফি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাবি শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেনো স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে জাবির ১৭টি আবাসিক হল ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৮৮ সদস্য বিশিষ্ট শাখা ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ (৩৯ ব্যাচ) থেকে আহ্বায়ক এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ (৪০ ব্যাচ) থেকে সদস্য সচিব নিয়ে ঘোষিত ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করা হয়েছে। নতুন বর্ধিত আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে ৭৫ জন এবং সদস্য হিসেবে ২৯৬ জন জায়গা পেয়েছেন।

এই হল কমিটি ও বর্ধিত কমিটিতে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ