বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত রূপায়ন টাওয়ারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটায় তা শেষ হয়।

এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত রশীদ আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শেখ ইনামুল হাসান। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মইনুল ইসলাম, মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশা।

গত ২৩ জুন এ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে সভাপতি পদে লড়েন সাবেক সমন্বয়ক রাশিদুল ইসলাম রিফাত। যিনি রিফাত রশীদ নামে পরিচিত। সম্প্রতি তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো.

জাকির হোসেন (মঞ্জু)।

সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়েন তিনজন। তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক ও জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা হাসান ইনাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ইব্রাহীম নিরব এবং ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মইনুল ইসলাম, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এবং খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক তাসনিম আহমাদ।

মুখপাত্র পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য সিনথিয়া জাহীন আয়েশা, ঢাকা মহানগর শাখার মুখপাত্র নুপুর আক্তার নোভা এবং সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার আহ্বায়ক মো. লিখন হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট গঠন র জন য সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে নবীনবরণ, র‍্যাগিং ইস্যুতে কঠোর প্রশাসন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার।

তবে ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

সোমবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ নিজস্ব আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়। 

আরো পড়ুন:

গকসুর তফসিল ঘোষণা, নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ-আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। এর মধ্যে সাতটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থাকলেও ধর্মতত্ত্ব অনুষদে কোনো আসন ফাঁকা নেই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার উপ রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, “ফাঁকা আসনের বিষয়ে গতকাল (রবিবার) জিএসটি কমিটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি মিটিং হয়েছে। এছাড়া আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র‍্যাগিংবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালান হয়েছে। নবীনদের র‍্যাগিংয়ে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।

তিনি বলেন, “আমরা র‍্যাগিং নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনদিন ধরে আমরা র‍্যাগিং সচেতনায় মাইকিং করছি। এছাড়া বিভাগগুলোতে কাউন্সিলর নিয়োগ, সচেতনতামূলক আলোচনা সভা এবং পোস্টার লাগানো হবে। কোনো র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ