জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, প্রস্তুতির বিকল্প নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 26th, June 2025 GMT
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এখন আর কেবল ভবিষ্যতের আশঙ্কা নয়, এটি এক অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা— এমন মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। অভিযোজনকেই এখন প্রধান কৌশল হিসেবে নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শুক্রাবাদে দৃকপথ ভবনে আয়োজিত ‘‘ডিসকাশন, বুক লঞ্চিং অ্যান্ড ফটো এক্সিবিশন অন লাইভস অন দি এজ অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দি ফিউচার’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এখন সময়ের দাবি। অথচ উন্নত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিজেদের স্বার্থে কোনও ছাড় দিতে রাজি নয়।”
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বর্তমান সরকার জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৪২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এর মধ্যে ১০০টি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা হবে, যেখানে কৃষকেরা বিনামূল্যে ফসল সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্য জলবায়ু ফান্ডে আবেদন নিশ্চিত করতে সরকার নীতিগত সহায়তা দেবে। উপকূলীয় এলাকার জনগণের সুরক্ষায় বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’’
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর চেয়ারপার্সন ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অক্সফামের বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর আশীষ দামলে, দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী ড.
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা ‘‘লাইভস অন দি এজ অফ ক্লাইমেট চেঞ্জ: স্ট্রাগল, হোপ অ্যান্ড দি ফিউচার’’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ফটো এক্সিবিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী বিক্রি, গ্রেপ্তার ১
বিদেশি প্রসাধনীর নামে পুরান ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারে নকল এবং ভেজাল প্রসাধনী অনলাইনে পাইকারি-খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের পুরাতন ভাড়ালিয়ায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৯ ধরনের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিআইডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন খবরের ভিত্তিতে সিআইডির একটি বিশেষ দল ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী কারখানায় পণ্য উৎপাদন ও মোড়কজাত করার সময় মো. হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোট ৯ ধরনের ১ হাজার ৭০ প্যাকেট বিভিন্ন রকমের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী এবং ২০০টি খালি মোড়ক জব্দ করা হয়। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকার পুরাতন ভাড়ালিয়ায়। হৃদয়ের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি ভেজাল প্রসাধনী ও মোড়ক উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয়ভাবে এসব বিদেশি প্রসাধনী উৎপাদিত হতো, এ বিষয়ে গ্রেপ্তার হৃদয়ের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। উৎপাদিত ভেজাল প্রসাধনী ঢাকার লালবাগ ও চকবাজারের বিভিন্ন অসাধু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে সরবরাহ করত প্রতারক চক্রটি। এমনকি অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সেই ভেজাল পণ্য সস্তায় কিনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখধাঁধানো বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন।
উদ্ধার ভেজাল পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১৪০টি কেম কট থাই, ১৪০টি এল অ্যাভিনিউ হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৭০টি অর্গানিক হেয়ারফর অয়েল, ১৪০টি বডি হোয়াইটনিং ক্রিম, ১৪০টি কেম বো হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ১৪০টি অজুফি হোয়াইটনিং বডি ক্রিম, ৬০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৫০টি হোয়াইটনিং বডি লোশন, ৯০টি কোরিয়ান ফেয়ার লুক পারমান্যান্ট হোয়াইটনিং বডি লোশন। এ ছাড়া ২০০টি নিউ ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট, স্কিন বডি লোশনের মোড়ক।
সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হোসেন জানান, এসব প্রসাধনী বাংলাদেশে উৎপাদন বা আমদানি হয় না। চক্রের অন্য সদস্যরা বিদেশের লাগেজ পার্টির মাধ্যমে স্যাম্পল এনে তা কপি করেন এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করেন। তাঁদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব প্রসাধনী তৈরি করে তিনি লালবাগ ও চকবাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন। পরে তাঁরা বিদেশি প্রসাধনী বলে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করেন। এ ছাড়া অনেক গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে পণ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন।
প্রতারক চক্রের সহযোগীদের শনাক্ত করে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।