বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরিঞ্জা পাহাড়ে একটি পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন তাঁদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গতকাল বুধবার রাতে মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকার ‘প্যারাডাইস অবকাশযাপনকেন্দ্রে’ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ওই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আবদুল খালেককে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি স্থানে আটকে রাখেন এবং তাঁর পরিবারের কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

পরে গভীর রাতে কৌশলে পালিয়ে আসেন আবদুল খালেক। তিনি ফিরে এসে পরিচিত কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাগানপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালান। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন লামার বাগানপাড়ার মনিন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে তানিয়াল ত্রিপুরা (৩৬), থানচির বড়মদক এলাকার মেথিয় ত্রিপুরার ছেলে হালিরাম ত্রিপুরা (৩১) ও রুমার বগালেক এলাকার নুথিয় ত্রিপুরার ছেলে রহিম ত্রিপুরা (৩৮)।

লামা পর্যটন মালিক সমিতির সদস্যসচিব মো.

সাদেকুর মাওলা ইরাক বলেন, পাড়াবাসী ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের ধরা সম্ভব হয়েছে। অপহৃত ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এখনো সঠিক পরিচয় দিচ্ছেন না। তাঁদের নামে আগেরও মামলা থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার চাটমোহন উপজেলার পাঁচবারিয়া এলাকার ফয়সাল হাসান (২৩), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর এলাকার শাহ জামাল (৩২) ও সুমন (২৬)।

এর আগে এ ঘটনায় এক দম্পতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন ও মো. স্বাধীন। পুলিশের ভাষ্য, তাঁদের মধ্যে তিনজনকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত করা গেছে ও তাঁরা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।

আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ২ ঘণ্টা আগে

মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাঁচ থেকে ছয়জন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে দুর্বৃত্তরা দোকানে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছু পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ক্যমেরার ফুটেজ পায় পুলিশ। এরপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র‍্যাব ও পিবিআই যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান গতকাল রাতে তিনজনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপ্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা০৭ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ যত অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার আলমগীরের বিরুদ্ধে
  • মুরগির ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই খুন হন জসীম
  • স্ত্রীর চরিত্র খারাপ বলায় পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা
  • চোর সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি, একজনের চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা
  • বন্দরে স্কুল ছাত্রী হুমায়রা অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ১
  • গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার