বান্দরবানের লামা উপজেলায় রিসোর্টের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ৩টার দিকে লামা উপজেলার বাগান পাড়া থেকে তাদেরকে আটক করেন এলাকাবাসী। 

আটক তিনজন হলেন—রুমা উপজেলার বগা লেক পুকুর পাড়ার নুথিয় ত্রিপুরার ছেলে রহিম ত্রিপুরা (৩৮), লামার বাগান পাড়ার মনিন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে তানিয়াল ত্রিপুরা (৩৬) এবং থানচি বড় মদক এলাকার মেথিয় ত্রিপুরার ছেলে হালি রাম ত্রিপুরা (৩১)।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার (২৫ জুন) রাতে লামার মিরিঞ্জা এলাকায় প্যারাডাইস রিসোর্ট থেকে ব্যবস্থাপক আবদুল খালেককে (২০) অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অপহরণকারীরা ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তবে, আবদুল খালেক কৌশলে পালিয়ে এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাবাসী বাগান পাড়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন অপহরণকারীকে আটক করেন। স্থানীয়রা ওই তিনজনকে ইয়াংছা সেনা ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। সেনাবাহিনী অপহরণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে হস্তান্তর করে।

লামা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক বলেন, রিসোর্টের ম্যানেজারকে অপহরণের বিষয়টি আগে কেউ জানায়নি। দুপুর ৩টার দিকে তিনজনকে আটক করার পর বিষয়টি জানতে পারি। তাদের কাছ থেকে প্যারাডাইস রিসোর্ট থেকে ছিনতাই করা দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/চাইমং/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপহরণক র ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তা

সিদ্ধিরগঞ্জে শাহিন সিকদার (৪২) ও হাফিজা আক্তার (২৯) নামে প্রেমিক জুটিকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবির ঘটনায় ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এসময় ১টি হাতুড়ী ও ২টি স্টীলের পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকাস্থ মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে অপহৃতদের উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বরগুনা জেলার তালতলী থানার চন্দনতলা এলাকার সামছুল আলমের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতেন পাড়া এলাকার সোহাগের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মো: সাখাওয়াত হোসেন (৩৮), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার লক্ষীপুর এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে ও মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার ফজলুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মহিন উদ্দিন (৩৬), ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বট্টি এলাকার আক্কাস শেখের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো: হৃদয় শেখ (৩০), চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার ডালিমদা এলাকার শাহ আলমের ছেলে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি সাহেবপাড়া খলিলের আয়রণ কারখানার শ্রমিক মো: ইমরান (২০) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার কলমা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মৃধার ছেলে ফতুল্লার সাহেবপাড়া মিতালী মার্কেটের ৫ম তলার বাসিন্ধা মো: খলিল (৩৪)।

অপহৃতরা হলো, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার শ্রীনগর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস সিকদারের ছেলে শাহিন সিকদার ও একই জেলা ও থানার উত্তর বাজিতা এলাকার গাফ্ফার হাওলাদারের মেয়ে ও সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া হাফিজা আক্তার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহৃত শাহিন সিকদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর গ্রামের বাড়ীতে একটি মুদি দোকান রয়েছে। হাফিজা আক্তার এবং তিনি পাশাপাশি ইউনিয়নে বসবাস করে। সেই সুবাদে হাফিজা আক্তার সম্পর্কে তাঁর প্রতিবেশী ও পূর্ব পরিচিত।

হাফিজা আক্তার তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তার সাথে কথা বার্তার একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর হাফিজা আক্তারের প্রথম সংসারে বনিবনা না হওয়ায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

পরবর্তীতে হাফিজা আক্তার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতেনপাড়া এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে গার্মেন্টসে চাকরী করতে থাকে এবং তারা উভয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় শাহিন হাফিজা আক্তারের সাথে দেখা করার জন্য সাইবোর্ড ফুটওভার ব্রীজের পূর্ব পাশে রাস্তার উপর এসে পৌছলে হাফিজা আক্তারের সাথে দেখা হয়। 

এসময় হাফিজা আক্তারের সাথে কথাবার্তার একপর্যায়ে ১নং বিবাদী কৌশলে তাদের কাছে এস কোন অজুহাত ছাড়াই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। তখন শাহিন তার সাথে কথা কাটাকাটি করলে অন্যান্য বিবাদীরা তাদের কাছে আসে এবং তারপর সকল বিবাদীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী জোরপূর্বক অজ্ঞাতনামা একটি অটোতে শাহিন ও হাফিজা আক্তারকে উঠাইয়া অপহরণ করে সাইনবোর্ড এলাকার মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনের ২য় তলায় অজ্ঞাত একটি রুমের ভিতরে নিয়া তাদের আটক করে রাখে।

তারপর বিবাদীরা মুক্তিপণ বাবদ তাদের কাছে নগদ এক লাখ টাকা দাবী করে। তখন তারা বিবাদীদের দাবীকৃত টাকা প্রদানে অস্বীকার করলে বিবাদীরা লোহার হাতুড়ী ও এসএস স্টীলের পাইপ দ্বারা শাহীনকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকে। তারপর বিবাদীদের ভয়ে শাহীন তার মানিব্যাগে থাকা নগদ ৭ হাজার টাকা দেয় এবং বিবাদীরা অবশিষ্ট টাকার জন্য তাকে আরও মারপিট করতে থাকলে সে আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করে। 

তারপর তার আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ বর্ণিতস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং অপহরণের সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, এ ঘটনায় আজ থানায় একটি মামলা দায়ের শেষে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকরি দেওয়ার কথা বলে টেকনাফে এনে এক তরুণকে অপহরণ, দাবি করা হয় মুক্তিপণ
  • গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩
  • বান্দরবানের লামায় পর্যটনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক অপহরণ, তিনজন আটক
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রেমিক-প্রেমিকাকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তা
  • রাজশাহীতে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার
  • ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও তিনজনকে ফাঁসি দিল ইরান
  • সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ নেতার দখলবাজি, মামলা
  •  সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন, ৫ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
  • সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের