চট্টগ্রামে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করবেন ম্যাজিস্ট্রেট
Published: 28th, June 2025 GMT
করোনা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে তিন মাসের বিশেষ সচেতনতামূলক ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর মধ্যেও যদি এসব রোগের প্রকোপ না কমে, তাহলে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আজ শনিবার ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন এই কার্যক্রমের কথা জানান। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মেয়র। জুনে চট্টগ্রামে ৯৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান মেয়র শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। তবে সবাই সুস্থ আছেন এবং গুরুতর কোনো রোগী নেই। সচেতনতার পাশাপাশি কীটনাশক প্রয়োগের মাত্রাও জোরদার করা হবে।
মশা নিধনে ওষুধ কার্যকর না হওয়ার বিষয়ে কর্মসূচিতে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, একই ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মশার মধ্যে প্রতিরোধ তৈরি হয়। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাভিত্তিক নতুন মশা নিধন সমাধান বায়োলজিকাল লার্ভিসাইড ‘বিটিআই’ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছেন। এতে ফল ভালো পেয়েছেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমানে তাঁদের বড় চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে তিনটি ভাইরাল রোগ মোকাবিলা করা। এগুলো হচ্ছে কোভিডের সংক্রমণ, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এর মধ্যে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ে হলেও সঠিক প্রস্তুতি ও গণসচেতনতা ছাড়া ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিয়মিত মশা মারার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের তদারকি বাড়ানো হয়েছে। তাঁরা নগরবাসীর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছেন। তবে এ তিনটি রোগের প্রকোপ না কমা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মশা নিধনে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন, সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন পর চ
এছাড়াও পড়ুন:
লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণা, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা, ৮ জনকে কারাদণ্ড
কারারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় ৮ জনের ১০ মাস করে কারাদণ্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকার দিতে আসার পর তাঁরা ধরা পড়েন। বিষয়টি আজ বুধবার কারা কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারের সময় জানা যায় ৮ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁদের নাম করে অন্যরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু প্রকৃত প্রার্থীরা সাক্ষাৎকার দিতে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে। লিখিত পরীক্ষার সময় কারা কর্তৃপক্ষ সব চাকরিপ্রার্থীর ছবি তুলে সংরক্ষণ করে রাখে। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সেই ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। এভাবে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, জালিয়াতিতে যুক্ত ৮ জন প্রার্থীকে শনাক্ত করার পর বিষয়টি চকবাজার থানা-পুলিশকে জানানো হয়। থানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের আটক করে স্পেশাল মেট্রোপলিটন আদালত লালবাগে উপস্থিত করলে বিচারক তাঁদের কারাদণ্ড দেন।
আসামিদের জবানবন্দি থেকে দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অনেক ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, চক্রের সদস্যরা নিয়োগপ্রার্থীদের বাবা, মা, ভাই বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেন। কেউ কেউ সন্তানের পক্ষে অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে এবং ব্ল্যাঙ্ক চেক দালালদের কাছে জমা দিয়ে চুক্তি করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দালালদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালত চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একটি এজাহার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।