চট্টগ্রামে মুঠোফোন দেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করছিলেন পরীক্ষার্থী, বহিষ্কার
Published: 29th, June 2025 GMT
মুঠোফোনে নকল নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলেন এক শিক্ষার্থী। আরেকজন হাতে লেখা নকল নিয়ে বসেছিলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। এসব অপরাধে চট্টগ্রামে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের একজন হাটহাজারির নাজিরহাট কলেজ কেন্দ্রে এবং আরেকজন মিরসরাইয়ে জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
আজ রোববার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের লিখিত পরীক্ষায় তাঁদের বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষা বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন জানায়, নাজিরহাট কেন্দ্রের ওই শিক্ষার্থী হলে মুঠোফোন নিয়ে এসেছিলেন। তা থেকে দেখে নকল করছিলেন। অন্যদিকে জোরারগঞ্জের ওই শিক্ষার্থী হাতে লেখা নকল নিয়ে এসেছিলেন। এসব অপরাধে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।
চট্টগ্রাম বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ৮৮ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিতি সংখ্যা ৮৭ হাজার ৮৩ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ২৩৫ জন। এদিন চট্টগ্রাম জেলায় দুজন বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ ছাড়া কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় এদিন বহিষ্কারের তথ্য নেই।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করার অপরাধে দুই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একজনের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এ বছর সব মিলিয়ে ১ লাখ ২ হাজার ৯৭৫ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী আছেন ৭১ হাজার ৯৪৭ জন। চট্টগ্রাম নগরে এবার পরীক্ষার্থী ৪৮ হাজার ৪৮০ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে