ভারত যে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সংকীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টির বাইরে বেরিয়ে দেখতে আগ্রহী নয়, বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে একের পর এক অশুল্ক বাধা তৈরির ঘটনা তারই দৃষ্টান্ত। গত তিন মাসে ভারত এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করল। এতে করে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সংযোগশীলতা ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছিল, তা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বোপরি, টানাপোড়েনে থাকা ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের শুক্রবারের (২৭ জুন) নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফ্ল্যাক্স সুতার বর্জ্য, ফ্ল্যাক্স সুতা, কাঁচা পাট, পাটের সুতা, ফুড গ্রেড সুতাসহ ৯ ধরনের পণ্য স্থলপথ দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তবে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভারত হয়ে এসব পণ্য নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি করার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এটি ছিল ভারতের দিক থেকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক ও বাণিজ্যের বিবেচনায় কঠোর সিদ্ধান্ত। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ। এরপর ১৭ মে বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য–ঘাটতির পরিমাণ এমনিতেই অনেক বেশি। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে যেখানে বাংলাদেশ প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, সেখানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য। ভারতের পদক্ষেপের কারণে নিশ্চিত করেই বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেননা, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির শীর্ষে থাকা দুটি পণ্য তৈরি পোশাক এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মোট মিলিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় ৬৫ কোটি ডলারের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। যদিও ভারতের দিক থেকে বলা হচ্ছে মুম্বাই বন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে বাধা তৈরি করার কৌশলী পদক্ষেপ ছাড়া কিছু নয়। কেননা, বাংলাদেশি এসব পণ্যের ক্রেতা মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো। সমুদ্রপথে বাণিজ্যে যে বাড়তি খরচ ও সময় ব্যয় হবে, তাতে বেশির ভাগ আমদানিকারকই বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি, মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কারণে সারা বিশ্বের বাণিজ্য পরিবেশে যখন চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সে সময় ভারত–বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর পরস্পরের স্বার্থেই বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করা প্রয়োজন ছিল। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর উল্টো চিত্রটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষই ভুক্তভোগী হচ্ছেন।

ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে, তা আমলে নিয়ে সরকারকে অবশ্যই উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির বিকল্প বাজার খোঁজাও জরুরি। আমরা মনে করি, আলোচনা ও কূটনৈতিক উদ্যোগই সংকট উত্তরণের সবচেয়ে সেরা পথ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্বিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঢাকায় এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে সংস্থাটির চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বেনাপোল ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর এবং ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সব ধরনের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ আছে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি আজ শনিবার সকাল ছয়টায় শুরু হয়। কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ শুরু থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কোনো কাজ হয়নি। এনবিআর ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারেননি। অফিস সময় শেষ হওয়ার আগে ভেতর থেকেও কাউকে বের হতে দেওয়া হয়নি। এতে এনবিআরের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। খবর আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো।

রাজস্ব খাতের সংস্কার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেন সংস্থাটির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পাশাপাশি আজ থেকে সারা দেশের শুল্ক-কর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে লাগাতার ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি।

চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার সকাল ছয়টায় এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। তবে কিছু জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো কার্যক্রম চালু রয়েছে। কারণ, এসব জাহাজের নিবন্ধনসহ অন্যান্য কার্যক্রমের অনুমোদন আগেই হয়েছে। তবে নতুন আসা যেসব জাহাজের নিবন্ধন হয়নি। ফলে বন্দরের জেটিতে সেসব জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে পুরো বন্দর অচল হয়ে পড়বে।

জানতে চাইলে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক জাহাজ কোম্পানি মেডিটেরানিয়ান শিপিং কোম্পানির হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস আজমীর হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আগের অনুমোদন থাকায় জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ চলছে। তবে রপ্তানি শুল্কায়ন না হলে পণ্য রপ্তানি করা যাবে না।

শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এই কর্মসূচি আমদানি-রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে। কারণ, কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পুরো বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হবে।

যশোর অফিস জানায়, আজ শনিবার সকাল থেকেই বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের কেউ চেয়ারে বসেননি। কর্মচারীরাও কাজ করেননি। ফলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়নি। এতে এই বন্দরে পণ্যের জট বাঁধার শঙ্কা রয়েছে।

জানতে চাইলে বন্দর ব্যবহারকারী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘কাস্টমস কর্মকর্তাদের শাটডাউনের কারণে আজ অন্তত ১০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি ও ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়নি। এতে শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বিকেল পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো আমদানি পণ্য দেশে আসেনি। আবার ভারতেও যায়নি কোনো রপ্তানি পণ্য। বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা ও বন্দর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থা পানামা পোর্টলিংক লিমিটেডের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এ জন্য শুল্ক আদায়ের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এই স্থলবন্দরে। কর্মকর্তারা আরও জানান, কর্মসূচির কারণে বন্দরে অন্তত রপ্তানি পণ্যবাহী ছয়টি ট্রাক আটকা পড়েছে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আ সারা দিন শাটডাউন কর্মসূচি পালনের পর সন্ধ্যা নাগাদ কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে তা সোনামসজিদ স্থলবন্দরেও পালন করা হবে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, কর্মসূচির কারণে আমদানি–রপ্তানি একবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ওপারে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে বাংলাদেশের আমদানি পণ্য নিয়ে কয়েক শ ট্রাক আটকা পড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আগাম সই করে রাখা কাগজপত্রের মাধ্যমে আজ ২৬ গাড়ি পণ্য আগরতলায় রপ্তানি করা গেছে। এর বাইরে অন্য আর কোনো পণ্যবাহী গাড়ি আখাউড়া স্থলবন্দরে আসেনি। হাসিবুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগে কাগজপত্র তৈরি থাকা পণ্য পাঠানো হয়েছে।’

আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, শনিবার তিন গাড়িতে ৩০ টন আটা ও ২৩ গাড়িতে ১১৫ টন মাছ আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে।

নেসার আহমেদ ভূঁইয়া নামে আখাউড়া স্থলবন্দরের এক ব্যবসায়ী জানান, বন্দরে একপ্রকার অচলাবস্থা চলছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। কখন সমস্যার সমাধান হয়, সেটা জানা নেই।

স্থলবন্দরটির রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্টেশনে অবস্থান করছি। এটি আন্তর্জাতিক বন্দর। দুই দেশের যাত্রীদের পারাপার চলছে। নতুন করে কোনো পণ্যের কাগজপত্র নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী বন্দরে আসেননি।’

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আজ আমদানি-রপ্তানি ও শুল্কায়নসংক্রান্ত কার্যক্রম হয়নি। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম ও আমদানি পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এদিন ভুটান থেকে আমদানি করা পাথর নিয়ে ১৪৮টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। তবে কোনো পণ্যেরই শুল্ককর আদায়সহ ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। ফলে এসব গাড়ি এখন আমদানি করা পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাড়িগুলো এখন আমদানি পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে। এতে আমদানিকারদের পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, আজ শনিবার এই বন্দর দিয়ে কিছুটা কম পণ্য রপ্তানি হয়। বিকেল পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি বন্দরে আসেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই দিন পর সচল হলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
  • এনবিআরে শাটডাউন, সারা দেশের বন্দরে অচলাবস্থা
  • এনবিআরে শাটডাউন, সারাদেশের বন্দরে অচলাবস্থা
  • এনবিআর ‘শাটডাউনে’ আখাউড়া স্থলবন্দরে স্থবিরতা
  • ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম
  • হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ
  • ‌‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • আন্দোলনে স্থবির এনবিআর আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত
  • আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা