ঢাকার দোহার উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে হারুনুর রশিদ (৬৫) নামের বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বাহ্রা স্কুলের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুনুর রশিদ ওরফে হারুন মাস্টার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর বাড়ি বাহ্রা গ্রামে।

এ সম্পর্কে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় কারও সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সকাল ৬টার দিকে তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পান। এগিয়ে এসে দেখেন, বাহ্রা স্কুলের কাছে হারুনুর রশিদের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক নুসরাত তারিন জানান, মরদেহের মাথা, ঘাড় ও শরীরে ছয়টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

হারুনুর রশিদের ভাতিজা মো.

শাহিন বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে নামাজ শেষে তাঁর চাচা হাঁটতে বের হন। তখন তিন যুবক তাঁকে গুলি করে ফেলে রেখে যায়। কারা ও কেন তাঁকে হত্যা করল, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর হাতের কব্জি কাটল সন্ত্রাসীরা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দাবি করা চাঁদার টাকা না পাওয়ায় মো. সালাউদ্দিন রিদন (৩২) নামে এক প্রবাসীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমসহ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আহত মো. সালাউদ্দিন রিদন উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার গনি বাড়ির লাকি বেগমের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাস্তার আলীপুরের কন্ট্রাক্টর পোলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় রিদনকে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রবাসী রিদনের মামা আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, “রিদন তার মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ১ বছর আগে তিনি দেশে আসেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার নতুন করে কাতার যাওয়ার কথা ছিল। তার মা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন। গত ৩-৪ মাস আগে রিদন তাদের আলীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দেন।” 

তিনি বলেন, “ওই সম্পত্তি বিক্রির পর স্থানীয় রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ ও জাকের রিদনের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিরোধ এড়াতে রিদন তার মায়ের পরামর্শে উপজেলার কন্ট্রাক্টর পোল এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।”

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, “শনিবার দুপুরে রিদন মোটরসাইকেলযোগে ভাড়া বাসা থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে চৌমুহনী পৌরসভার চৌরাস্তার আলীপুরের জয়নাল আবেদিন স্কুল এলাকায় গতিরোধ করে রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদসহ তাদের সহযোগীরা রিদনকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে দেয় এবং কনিষ্ঠা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই সময় হামলাকারীরা তার সঙ্গে থাকা ৫ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।”

অভিযুক্ত রকি, সোহাগ, রাহাত, ফাহাদ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন মামা আব্দুল কাদের।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রকি, সোহাগ ও রাহাতের  মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/সুজন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ