দুই লাখ টাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা: পুলিশ
Published: 2nd, July 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক এতথ্য জানান।
নিহত নারীর নাম ফেরেদৌসী বেগম (৫০)। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
আইনজীবী হত্যা: চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
সাবেক স্ত্রীকে খুনের পর মেয়েকে দলিল বুঝিয়ে দিয়ে আত্মহনন
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পর তার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর স্থানীয়রা ফেরদৌসী বেগমের মরদেহ পান। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “দক্ষিণ গ্রামের ফেরদৌসী বেগম ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় নুরজাহান বেগম ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি মাদকাসক্ত আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন।”
ওসি আরো জানান, “আনোয়ার হোসেনের সহযোগী হিসেবে ছিলেন মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। তারা সবাই একযোগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত।”
পুলিশ জানায়, নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান ২৯ জুন বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মায়ের নিখোঁজের অভিযোগে। এরপর স্থানীয়রা ১ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে নির্জন বাগানের ভেতরে থাকা সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন জব্দ করে। পরে তাদের কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ওসি আজিজুল হক বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে রূপান্তরিত সাঁতারুর পদক
দ্বিতীয় দফা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর পররাষ্ট্রনীতিতে আরও কড়াকড়ি আরোপের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও কঠোর নীতি চালু করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার মধ্যে একটি হলো মেয়েদের খেলায় রূপান্তরিত (ট্রান্সজেন্ডার) ক্রীড়াবিদদের নিষিদ্ধ করা।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের খড়্গ নেমে এসেছে লিয়া টমাসের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের এই রূপান্তরিত সাঁতারুর ব্যক্তিগত অর্জন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তাঁর রেকর্ড মুছে ফেলার পাশাপাশি শিগগিরই পদক কেড়ে নেওয়া হবে।
রূপান্তরিত সাঁতারু লিয়া টমাসের পদক কেড়ে নেওয়া হবে