সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা, ছেলে সাফায়াত বিন জাকির ওরফে সৌরভ ও মেয়ে জাকিয়া তাবাসসুম সঞ্চয়ীর সম্পত্তির হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক তিনটি চিঠিতে ওই নোটিশ জারি করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে জাকির হোসেনের কুড়িগ্রামের রৌমারীর বাড়িতে এই নোটিশ পৌঁছে দিয়েছেন জেলা দুদক কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, বাড়িতে কাউকে না পেয়ে গেটে দুদক মো.

বেনজির আহম্মদের সই করা তিনটি নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন সুরাইয়া সুলতানা। দুদক আইন, ২০০৪এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী বিস্তারিত সম্পদ বিবরণী এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে ২৬(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ধরনের নোটিশ অন্য দু’জনের নামেও টানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী ও তার ছেলে-মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মপুর থেকে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে আটক করা হয়। তার ছেলে সাফায়াত বিন জাকিরকে ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রীর বাসা থেকে আটক করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণশ ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা ছাড়াল

টানা বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামের ঝাঁজ। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে আজ সকালে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও কিছু এলাকায় বন্যার ফলে উৎপাদন কমেছে দেশের অনেক জেলায়। অনেক জেলায় মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে।

আজ রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ৩৬০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগেও বাজারে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কেনা যেত। যদিও কোথাও একটু কমেও বিক্রি হয়েছে। বিমানবন্দরের পাশে হজ ক্যাম্প বাজারে ৮০ টাকার নিচে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ মিলছে না। এ নিয়ে প্রায় ক্রেতা-বিক্রেতার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের ধরন ও বাজারের অবস্থানভেদে দামে পার্থক্য রয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে মরিচের কেজি ছিল ৬০ থেকে ১০০ টাকা। তবে বেশির ভাগ পরিবারই কাঁচা মরিচ কেনে ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম। সেই হিসেবে রাজধানীর খুচরা বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার দোকান বা যাঁরা ভ্যানে করে মরিচ বিক্রি করছেন, সেখানে দাম আরও বেশি।

তবে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ থেকে মরিচের দামের ঝাঁজ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এমনিতেই রাজধানীর অন্যান্য বাজার থেকে কারওয়ান বাজারে সব ধরনের পাইকারি পণ্যের দাম কিছুটা কম। কারওয়ান বাজারের করম আলী নামে এক আড়তদার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে দামটা বেশি। আগে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় কিনতাম, এখন সেটা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। গতকাল তো ২৪০ থেকে ২৮০ টাকাও কেজিতে কেনাবেচা হয়েছে। তবে গতকাল থেকে দেশীয় মরিচের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তাই আগামীকাল থেকে দাম কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার থেকে গতকাল ১ হাজার ২০০ টাকা দরে পাল্লা (১ পাল্লা ৫ কেজি হিসেবে) কিনেছি। সেই সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ হিসাব করে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’

মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা নুরুজ্জামান বাবু বলেন, এই সময়ে দেশের বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া ও রংপুরে বেশি কাঁচা মরিচ হয়। তবে অনেক জায়গায় অতিবৃষ্টির কারণে ফলন কমেছে। তাই সরবরাহ কম। সে জন্য দামও কিছুটা বাড়তি।

বিক্রেতারা জানান, মূলত বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টি দেখে মরিচের আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারাও বাড়তি দাম নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বেশ খানিকটা দাম বেড়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ