ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে নিখোঁজ ৪৩ জন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার
Published: 3rd, July 2025 GMT
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কাছে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার রাতে পূর্ব জাভার কেতাপাং বন্দর থেকে বালি দ্বীপের গিলিমানুক বন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ‘কেএমপি তুনু প্রতমা জয়া’ নামের ওই ফেরিটি। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর সেটি সাগরে ডুবে যায় বলে জানায় দেশটির জাতীয় উদ্ধারকারী সংস্থা। খবর আল-জাজিরার
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বিএএসএআরএনএএস) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেরিতে ৫৩ জন যাত্রী, ১২ জন কর্মী এবং ২২টি যানবাহন ছিল। এর মধ্যে ১৪টি ছিল ট্রাক।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরিডুবির এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই দীর্ঘ সময় ঢেউয়ের মধ্যে ভেসে থাকার পর অচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
বানিউয়াঙ্গি জেলার পুলিশপ্রধান রামা সামতামা পুত্রা জানান, এ পর্যন্ত ২০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের অনেকেই ঢেউয়ের মধ্যে দীর্ঘ সময় ভেসে থাকার কারণে অচেতন অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন দ ন শ য ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়