কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় শত বছরের পুরোনো খুলনা জেলা রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভবনে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভবনে থাকা মূল্যবান নথিপত্র বিনষ্ট হয়েছে।

খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশ থেকে পানি পড়ে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ছাদ নরম হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভবনটির মাঝখানের ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে নথিপত্রের প্রায় ১০০ বই ভিজে গেছে।

আগেও সেখানে ছাদ ধসের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত ভাড়া বাসায় অফিস স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে আবাসিক ভবন ধসে নিহত ২৭

পাকিস্তানের করাচিতে পাঁচতলা একটি আবাসিক ভবন ধসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ভবনটি ধসে পড়ে।

পাকিস্তানের সরকারি উদ্ধার পরিষেবার মুখপাত্র হাসান খান বলেন, আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংসস্তূপের বেশির ভাগই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলের মধ্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভবনটি আগেই ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যেতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে বাড়ির মালিক ও কয়েকজন বাসিন্দা এএফপির কাছে দাবি করেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো নোটিশ পাননি।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে তিনতলা ভবন ধসে নিহত ৩১৮ জুলাই ২০১৭

করাচির দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা লিয়ারিতে ভবনটি ধসে পড়ে। আশপাশের বাসিন্দারা ধসে পড়ার বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানে আবাসিক ভবন ধসে নিহত ২৭