ঢাকার সাভারে রান্নাঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার আশুলিয়ায় গোহাইলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ দম্পতি হলেন মিন্টু (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী ববিতা (৩০)। তাঁরা আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি এলাকায় নজরুল ইসলামের টিনশেডের একটি কক্ষে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে দগ্ধ মিন্টু ও ববিতাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। আগুনে মিন্টুর শরীরের শতকরা ৬০ ভাগ ও ববিতার ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, গতকাল কাজ শেষে বাসায় ফেরেন মিন্টু ও ববিতা। সন্ধ্যার পরপর রান্নাঘরে যান মিন্টু। এ সময় তাঁর সঙ্গে ববিতাও ছিলেন। কিছু সময় পর প্রতিবেশীরা তাঁদের দুজনের চিৎকার শুনতে পেয়ে সেখানে আসেন এবং দগ্ধ অবস্থায় ওই দম্পতিকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মিন্টু ও ববিতা একই কারখানায় কাজ করেন। মিন্টু সিগারেট খাওয়ার জন্য বারান্দার রান্নাঘরে গিয়েছিলেন। আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীরে আগুন লাগে। ওই সময় ববিতাও কাছাকাছি ছিলেন। তাঁর শরীরেও আগুন লাগে। গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরে জমা হয়েছিল, তবে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি। রান্নাঘরের কোনো ক্ষতিও হয়নি।

আহত ববিতার চাচাতো ভাই প্রেমানন্দ চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক বলেছেন মিন্টুর অবস্থা ভালো নয়। ববিতার অবস্থা মিন্টুর চেয়ে একটু ভালো। তাঁরা দুজনই সাভারের গোহাইলবাড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন ন ঘর ও বব ত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্জন পথে হরিণের মাংস নিয়ে ফিরছিলেন শিকারিরা, কোস্টগার্ড দেখে পালালেন

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ