১৬ বছরে সর্বনিম্ন পাসের হার নিয়েও দেশসেরা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড
Published: 10th, July 2025 GMT
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। তা সত্ত্বেও ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দেশ সেরা হয়েছে শিক্ষা বোর্ডটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন অধ্যাপক আ ন ম মোফাখাখারুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত বছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩২৭ জন। গত বছর এটি ছিল ২৮ হাজার ৭৪ জন। এবার বোর্ডটিতে শূন্য পাস করা কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। পাসের হারে তুলনামূলকভাবে মেয়েরা এগিয়ে।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বাড়তে থাকে। ওই বছর পাসের হার ছিল ৫৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। পরের বছর সেটি দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ৬১ শতাংশে। এর পর থেকে আর পাসের হার কখনো ৮০ শতাংশের নিচে নামেনি। বেশির ভাগ ফলাফলে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে ২০১১ সালে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ২৩, ২০১২ সালে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৩৩, ২০১৩ সালে ৯৪ দশমিক শূন্য ৩, ২০১৪ সালে ৯৬ দশমিক ৩৪, ২০১৫ সালে ৯৪ দশমিক ৯৭, ২০১৬ সালে ৯৫ দশমিক ৭০, ২০১৭ সালে ৯০ দশমিক ৭০, ২০১৮ সালে ৮২ দশমিক শূন্য ৭, ২০১৯ সালে ৯১ দশমিক ৬৪, ২০২০ সালে ৯০ দশমিক ৩৭, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৭১, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৮৮, ২০২৩ সালে ৮৭ দশমিক ৮৯ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৬৭ দশমিক ৫১, কুমিল্লা বোর্ডে ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, যশোরে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, দিনাজপুরে ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
পরীক্ষার ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, যারা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছে, তারাই ভালো ফলাফল করেছে। যে ফলাফল এসেছে, এটিই প্রকৃত শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা। এখানে কারও কোনো ম্যানিপুলেশন ছিল না। পাসের হার কম হোক, এ ধরনের কোনো নির্দেশনাও ছিল না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক শ ন য ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫–২০২৬ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার নীতিমালায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের আবেদনের ক্ষেত্রে জিপিএ কমেছে। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এইচএসসি সিলেবাস অনুযায়ী ১০০ নম্বরেই ভর্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিষয়ের ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যায় ৫ কমে ৫ নম্বর বেড়েছে সাধারণ জ্ঞানে ।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, এ নীতিমালা ‘মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা-২০২৫–২০২৬’ নামে অভিহিত হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রণীত নীতিমালা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডের গবেষণা বলছে, মূল্য হারাতে বসেছে ১০ ডিগ্রি২৮ অক্টোবর ২০২৫আবেনকারী প্রার্থীর যোগ্যতা—১.
আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কেবল সরকার কর্তৃক বিদেশিদের সংরক্ষিত আসনের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২.
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট হতে হবে। গত শিক্ষাবর্ষে (২০২৪–২৫) এটি ছিল ৯ পয়েন্ট। প্রার্থীকে নিয়মিত এসএসসি ও সমমান ‘ও’ পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি অথবা সমমান ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই ফিজিকস (পদার্থবিজ্ঞান), কেমিস্ট্রি (রসায়ন) ও বায়োলজিতে (জীববিজ্ঞান) ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে।
আরও পড়ুনবুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ২৮ অক্টোবর ২০২৫৩.
সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি/এ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় জিপিএ ৫ স্কেলে মোট জিপিএ ৮ দশমিক ৫ এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না।
৪.
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি বা যে দেশে এসএসসি পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষা নেই সে দেশের দশম শ্রেণি/ও লেভেল এবং এইচএসসি/এ লেভেল অথবা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭ এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩ দশমিক ৫ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না।
৫.
পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ সকল উপজাতি ও পাবর্ত্য জেলার অ–উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা দুটিতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩ দশমিক ৫ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না। এক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, দ্বিতীয়বার সুযোগ, দেখুন বিস্তারিত২৭ অক্টোবর ২০২৫৬.
যে শিক্ষাবর্ষের জন্য মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করবেন সেই ইংরেজি বর্ষ বা পূর্ববর্তী ইংরেজি বর্ষে প্রার্থীকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে তাঁর এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
উদাহরণ, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২৪ সাল অথবা ২০২৫ সালে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হইবে। ২০২২ সালের পূর্বে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে না;
‘ও’লেভেল/‘এ’লেভেল অথবা বিদেশি শিক্ষা ব্যবস্থায় সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তাহাদের নম্বরপত্রগুলো সমতাকরণ করিতে হইবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ, নেগেটিভ মার্কিং২৫ অক্টোবর ২০২৫প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া—এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এবং ভর্তির জন্য জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। কোনো শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি পরীক্ষায় সদ্য উত্তীর্ণদের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ৮ গুণ–এর সঙ্গে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১২ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। তবে পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। পূর্ববর্তী বছরের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর গত শিক্ষাবর্ষে (২০২৪–২৫) কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনমেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর, মানবিক গুনাবলী যাছাইয়ে আসবে প্রশ্ন০৭ অক্টোবর ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা নম্বর বন্টন ও সময়—লিখিত ভর্তি পরীক্ষা ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পদার্থবিদ্যায় ১৫, রসায়নবিদ্যায় ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ১৫, মোট ১০০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট হবে।
*মেডিকেলের ভর্তি নীতিমালাটি দেখতেন এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৩ ডিসেম্বর২২ ঘণ্টা আগে