বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে যাওয়া মারিয়া পাস করেছেন
Published: 10th, July 2025 GMT
পরীক্ষার দিন ভোরে বাবা মারা যান। সেই কঠিন মুহূর্তেও মনকে শক্ত করে বাবার মরদেহ বাড়ি রেখেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যান মারিয়া আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে তিনি পাস করেছেন।
মারিয়া আক্তার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩. ৮৩ পেয়েছেন। তবে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারিয়া। ১০ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার বাবা মামুন হাওলাদার। ওইদিনই ছিল তার এসএসসি পরীক্ষা। বাবার মৃত্যু শোক সামলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মারিয়া আক্তারের সেই দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অনুকরণীয়।
মারিয়া বলেন, বাবা সবসময় চাইতেন আমি মানুষ হই। তিনি স্বপ্ন দেখতেন আমাকে একজন ডাক্তার হিসেবে দেখতে। বাবার মুখটা মনে করে চোখের জল নিয়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে পড়েছিলাম, সেভাবে ফল হয়নি। তাই খুব কষ্ট লাগছে।
মারিয়ার ছোট চাচা অলিউল্লাহ বলেন, ভাই মারা যাওয়ার পর একেবারে ভেঙে পড়েছিল মারিয়া। আমরা সাহস দিয়েছি, পাশে থেকেছি। আল্লাহর রহমতে সে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এই রেজাল্ট দিয়ে আমরা তাকে ঢাকায় ভালো কোনো কলেজে ভর্তি করাতে চাই। আশা করছি, এইচএসসিতে সে আরও ভালো করবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, “নলছিটিতে চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/অলোক/এস