জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিজেদের অবদান ও ভূমিকার কথা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।

‘সশস্ত্র বাহিনীর সকল পদবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ-ছাত্রজনতার ঐক্য সমাবেশ ও শোভাযাত্রা’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজক ‘জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ’। রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে প্রথমে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাওয়া কনভেনশন সেন্টার থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। জাহাঙ্গীর গেট ঘুরে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়।

সমাবেশে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আহসান হাকিম বলেন, তাঁরা চান, জুলাই সনদে তাঁদের নাম থাকুক। এ সময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি জানান।

অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবুল মনসুর বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সে জন্য জুলাই সনদে তাঁদের অবদান তুলে ধরতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জামিল ডি আহসান বলেন, স্বাধীনতা পাওয়ার পর তা বিপন্ন হওয়ার পথে ছিল। ৫ আগস্ট তা আবার পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আজকের দিনকে ঐতিহাসিক হিসেবে তাঁরা স্মরণ করছেন। তাঁরা দেশের জন্য আগেও ছিলেন, এখনো আছেন।

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, দেশের সম্ভাব্য শত্রুদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদারত্ব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। সরকারকে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো.

আহসানউল্লাহ বলেন, অনেক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সবার সহযোগিতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরীফ মো. এ হুসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনীশ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমিনুল করীম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অবসরপ র প ত সদস সশস ত র ব হ ন র জ ল ই সনদ কর ন ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হচ্ছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে
  • গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট