আগামীকাল থেকে ট্রাকে তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করবে টিসিবি
Published: 9th, August 2025 GMT
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও ট্রাকে তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি শুরু করবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার আবার মাসব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু করছে সংস্থাটি। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।
টিসিবি জানিয়েছে, স্মার্ট কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল) বিক্রির কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি কার্ড নেই, এমন সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে।
গত পবিত্র রমজানের সময় ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে তেল, চিনি ও ডালের সঙ্গে ছোলা ও খেজুর বিক্রি করেছিল টিসিবি। এরপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার গত কোরবানি ঈদের সময় ট্রাকে পণ্য বিক্রি করেছিল সংস্থাটি। প্রায় দুই মাস বিরতি দিয়ে আবার ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু করতে চলেছে টিসিবি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিসিবি বলেছে, আগামীকাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও কুমিল্লা মহানগরীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১১৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ৭০ টাকা ও চিনি ৮০ টাকায় বিক্রি করবে সংস্থাটি। এতে ট্রাক থেকে তিনটি পণ্য কিনতে একজন গ্রাহকের মোট ব্যয় হবে ২৬৫ টাকা।
টিসিবি জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আগামীকাল ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) এ বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ছয়টি, কুমিল্লা মহানগরীতে তিনটি এবং ঢাকা জেলায় আটটি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় চারটি, পটুয়াখালী জেলায় পাঁচটি ও বাগেরহাট জেলায় পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। এসব মহানগরী ও জেলায় আগামীকাল ১০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি ট্রাকে ৫০০ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
এর পাশাপাশি টিসিবির স্মার্ট পরিবার কার্ডের মাধ্যমে সারা দেশে পণ্য বিক্রির নিয়মিত কার্যক্রম চলবে। টিসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ লাখ পরিবারের কাছে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় হয়েছে ৫৪ লাখ স্মার্ট কার্ড। অর্থাৎ এই ৫৪ লাখ পরিবার বর্তমানে টিসিবির পণ্য কিনতে পারছে। টিসিবির মোট এক কোটি পরিবারের কাছে স্মার্ট কার্ড সরবরাহের কথা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ জ যত ল আগ ম ক ল পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই কমিশনের সভাপতি-সদস্যদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ
দুই কমিশনের সভাপতি-সদস্যদের মর্যাদা ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এ বিষয়ে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জাতীয় সংসদের তিন নির্বাচনে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে পর্যালোচনাপূর্বক ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সম্মানী এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হলো। পাঁচ সদস্যের এ কমিশনে সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসায় কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক (যথা ডেপুটেশন, লিয়েন, ছুটি ইত্যাদি) থাকলে তা সাময়িকভাবে স্থগিতের শর্তে এ কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং কমিশনের সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
তবে শর্ত থাকে, কমিশনের সভাপতি বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধা) আইন, ২০২১ প্রযোজ্য হবে। এ সংক্রান্ত ব্যয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট থেকে নির্বাহ হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করার লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদেরও মর্যাদা, বেতন-ভাতা/সম্মানি এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে। নয় সদস্যের এ তদন্ত কমিশনের সভাপতি সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খান।
এ কমিশনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক (যথা-ডেপুটেশন, লিয়েন, ছুটি ইত্যাদি) থাকলে তা সাময়িকভাবে স্থগিতের শর্তে তদন্ত কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের এবং (কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপনের) ক্রমিক ২, ৭, ৮ ও ৯ এ উল্লিখিত কমিশনের সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এম সাঈদ হোসাইন, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান ও আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ আলি) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। কমিশনের অন্য সদস্যরা প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা সম্মানি পাবেন।
তবে শর্ত থাকে, কমিশনের সভাপতি বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (বেতন এবং সুবিধা) আইন, ২০২১ অনুসরণ করতে হবে। এ সংক্রান্ত ব্যয় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের বাজেট থেকে নির্বাহ হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি