হিলি স্থলবন্দরের অনিয়ম খতিয়ে দেখার নির্দেশ নৌপরিবহন উপদেষ্টার
Published: 9th, August 2025 GMT
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংকের অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে নৌপরিবহনবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এই নির্দেশ দেন। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা স্থল শুল্ক স্টেশন ও পানামা পোর্ট লিংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি পানামা পোর্ট লিংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পান। তার ভিত্তিতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানকে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। পরে তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও পানামা পোর্ট লিংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
মতবিনিময় সভায় ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির সময় বৃদ্ধি করা, পণ্য ওঠানামায় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের বাড়তি মজুরি আদায়, পণ্য আমদানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয়ের ঘাটতি ও শ্রমিকদের কর্মহীন হয়ে পড়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
মতবিনিময় সভা শেষে বেলা পৌনে একটায় সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর চুক্তিভিত্তিক বন্দর। এই বন্দরকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে, আমরা তার বিকল্প কিছু করতে পারব না। যেসব বন্দর আমরা পরিচালনা করছি, সেগুলোর অনেক আধুনিকায়ন হয়েছে। বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, তামাবিলে অনেক কাজ হচ্ছে। যত দূর মর্ডান করা যায়, তত দূর। হিলি স্থলবন্দরটা দেখলাম, রাজশাহীতে সোনা মসজিদ দেখলাম—দুটিই বড়। দুটিই চুক্তিতে দেওয়া হয়েছে। বন্দর চুক্তিতে দেওয়া ভালো। আগে বন্দর ২৪টি ছিল। সেখান থেকে ৪টি বাদ দেওয়া হয়েছে, ২০টি বন্দরের সব তো চালানো কঠিন। তাই আমরা কিছু বন্দর, বিশেষ করে ২-৪টি নদীবন্দর বেসরকারি খাতে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এখনো যে ২০টির মতো বন্দর আছে, সেখানে কার্যকর বন্দর যদি বলি, ১২টির বেশি নেই। সারা বছর যেখানে ১০ হাজার, ১৫ হাজার, ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা আয় হয়; খরচ তার চেয়ে বেশি।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টার পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমার বিশ্বাস, হিলি শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরাম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে পরামর্শ সভা
সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়দের চাহিদা নিরুপনে নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৫ শীর্ষক উপজেলা পর্যায়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
পূজার ছুটির পর গকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিষেক
নিবন্ধন পাচ্ছে এনসিপিসহ ২ দল
সিডো সাতক্ষীরার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর শফিক-উ-দ্দৌলা সাগর, টিআইবি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হেনরী সরদার, একশনএইড প্রতিনিধি সুইট খান, ইয়ূথ সভাপতি সাকিব হাসান, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অনেক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার খুব জরুরি। সুন্দরবন কেন্দ্রিক টেকসই ইকোটুরিজম প্রতিষ্ঠা, সুন্দরবনের পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ ও পর্যটন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ইকোটুরিজম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা জেলার শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা সুবিধা দেবে।
তারা বলেন, রেল সংযোজন সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বৈষম্যের শিকার। সাতক্ষীরাকে দেশের রেল নেটওয়ার্কে অন্তভুক্ত করতে হবে, যা জেলা ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া সাতক্ষীরায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম ও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, সীমান্তে মাদক প্রতিরোধে প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, স্থলবন্দরকে পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর, সাতক্ষীরার ভোমরাকে একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকর পৌরসভার ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবন বাঁচাতে জীবশ্ম জ্বালানীকে পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানী সংযোজন, জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষি ব্যবস্থাপনা, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণাগার তৈরি, প্রাণ সায়ের খালের দুই ধার সৌন্দর্যবর্ধন, যুবদের মুক্ত চিন্তা, উন্নয়ন ভাবনা ও নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য শিক্ষালয় কেন্দ্রিক যুববান্ধব স্পেস তৈরি ও কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন বক্তারা।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী