সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১২০ বার পেছাল
Published: 11th, August 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবারও আদালতে জমা পড়েনি। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১২০ বার পেছানো হলো।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ সোমবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান।
উল্লেখ্য, এক যুগ পর এই হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছে পিবিআই। সংস্থাটি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনঅবশেষে র্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব গেল পিবিআইয়ের কাছে১৩ নভেম্বর ২০২৪তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ছয়জন কারাগারে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
কারিনার সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ হতে ভালো লেগেছে: অর্জুন
‘‘কারিনার সঙ্গে পর্দায় অন্তরঙ্গ হতে ভালো লেগেছে। এখনও মনে পড়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করার কথা।’’— ২০২১ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছিলেন অর্জুন রামপাল। সেই সাক্ষাৎকার নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
বলিউডের এক সময়ের আলোচিত জুটি কারিনা কাপুর ও অর্জুন রামপাল। পর্দায় তাদের রোমান্স—সিনেমায় অন্যরকম মাত্রা যোগ করতো। এই জুটি ২০১২ সালে মধুর ভান্ডারকরের পরিচালনায় ‘হিরোইন’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন। তবে সিনেমায় দুইজনের মিলন দেখানো হয়নি। যার ফলে সিনেমার কাহিনি যেমন দর্শক মনে রেখেছেন আবার তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলোর কথাও দর্শক ভুলে যাননি।
অর্জুন রামপাল সেই স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে একদিকে আলোচনায় এসেছেন, তেমনি সমালোচনায়ও পড়তে হয়েছে তাকে। কারিনাকে নিয়ে তার মন্তব্যটিকে ভালোভাবে নেননি দর্শকদের একাংশ। রেডিটের এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘‘অর্জুনের এই মন্তব্য অদ্ভুত এবং অপেশাদার।’
আরো পড়ুন:
শরীর স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে অনুমতি নিতেন শাহরুখ: শিবা
‘সাইয়ারা’ সিনেমার সাফল্য: প্রথমবার মুখ খুললেন নায়িকা
আবার আরেকজন লিখেছেন, ‘সেই সময় মনে হয় সকলেই এই ধরনের কথাবার্তা বলতে কোনোরকম দ্বিধাবোধ করতেন না।’ আবার কেউ কেউ মনে করছেন, অভিনেতা আসলে এসব বলতে চাননি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হিরোইন’-এ কারিনা কাপুর খান এবং অর্জুন রামপালের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন রণদীপ হুদা, মুগ্ধা গডসে এবং দিব্যা দত্ত-সহ আরও অনেকে। এই সিনেমার গল্প এগিয়েছে মাহি নামে এক অভিনেত্রীকে ঘিরে। মাহি বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে হতাশায় ডুবে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেতে বসে। তারপর আবার নায়িকা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে মধুরের সব ছবির মতোই এক্ষেত্রেও নায়িকা ফের ঘুরে দাঁড়ায়।নতুন জীবনে প্রেমিক হিসেবে আসেন অর্জুন রামপাল।
ঢাকা/লিপি