চোট কাটিয়ে ফেরার পথে মেসি, মায়ামি ভক্তদের আশার আলো
Published: 14th, August 2025 GMT
ইন্টার মায়ামির ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসির জন্য সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। চোটের কারণে টানা দুই ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকাকে। তবে এবার ভক্তদের জন্য সুখবর। অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। আর সেটাই তার দ্রুত মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রদ্রিগো দি পলসহ সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন করছেন মেসি। পুরো মাঠজুড়ে সাবলীল দৌড় আর বলের নিয়ন্ত্রণ দেখে মনে হচ্ছে, খুব বেশি দেরি নেই তার প্রত্যাবর্তনের।
ইন্টার মায়ামির পরবর্তী ম্যাচ রোববার (১৭ আগস্ট) এলএ গ্যালাক্সির বিপক্ষে, চেজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায়। এরপর দলটির সামনে ব্যস্ত সূচি। ২১ আগস্ট লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে টাইগার্স ইউএএনএলের মুখোমুখি হবে তারা। আর ২৪ আগস্ট এমএলএসে খেলবে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে। টাইগার্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সামনে রেখেই মেসি শতভাগ ফিট হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরো পড়ুন:
নেই মেসি, হারল মায়ামি
ডি পল-সুয়ারেজে কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিহীন মায়ামি
মেসি সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ৩ আগস্ট, নেকাক্সার বিপক্ষে লিগস কাপ ম্যাচে। শুরুতেই দুর্দান্ত এক আক্রমণে যাওয়া সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের ট্যাকলে চোট পান তিনি এবং মাত্র ১১ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর পুমাস উনাম ও অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে খেলতে পারেননি। মেসিকে ছাড়া ওই দুই ম্যাচে মায়ামি একটিতে জয় ও একটিতে হেরেছে।
বর্তমানে ২৩ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ছয় নম্বরে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ৫১। আর মাঝের দলগুলোর ব্যবধানও খুব বেশি নয়। তাই আসন্ন ম্যাচগুলোতে মেসির প্রত্যাবর্তন দলকে পয়েন্ট তালিকায় আরও ওপরে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ২২ দল, আছে ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’ও
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাই–বাছাইয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্তত ২২টি দল উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্রুত এসব দলের কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। এরপর নিবন্ধনের জন্য ইসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে গতকাল রোববার মাঠপর্যায়ের যাচাই–বাছাই শেষে তদন্তের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৬টি দলের তালিকা করে কমিশন। আরও একদিনের যাচাইয়ে সোমবার এ সংখ্যা বেড়ে ২২টি হয়েছে।
গত ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে ইসিতে আবেদন করে দলগুলো। তখন প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এরপর সবগুলো দলকে প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণে ১৫ দিন সময় দেয় ইসি। ৩ আগস্ট শেষ সময় পর্যন্ত এনসিপিসহ ৮৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত পূরণের তথ্য ইসিতে জমা দেয়। এরপর যাচাইয়ে ২২টি দল প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়।
যাচাই–বাছাই শেষে উত্তীর্ণ হওয়া ২২টি দল হলো– ‘ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘১৪৩টির মধ্যে ৮৪টি দল তথ্য ঘাটতি পূরণ করে জমা দেয়, ৫৯টি দল কোনো ধরনের সাড়া দেয়নি। এ ৮৪টি দলের মধ্যে ২২টি দলের তথ্য সঠিক রয়েছে বলে আপাতত পাওয়া গেছে। যেগুলোর মাঠ পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের (যাচাই-বাছাই) জন্য চলে যাবে। বাকি ১২১টি দল অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশসহ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।’
আইন অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল ইসির নিবন্ধন পেতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি, দেশের এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ জন ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এ ছাড়া কোনো দলের কেউ অতীতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। প্রধান এ শর্তগুলো ছাড়াও বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয় দলগুলোকে।
নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর প্রাথমিক বাছাই করে কমিশন। এরপর সেই দলগুলোর তথ্যাবলি মাঠপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত শেষে কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন যদি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন কারও দাবি বা আপত্তি আছে কি না, সে জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দলের পক্ষে নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ থাকে না। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এই নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগসহ)।
আরও পড়ুন‘বাংলাদেশ বেকার সমাজের’ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছেলের বাসার ‘ড্রয়িংরুম’২৪ জুন ২০২৫