মুন্নী সাহা ও তাঁর স্বামীকে সম্পদের হিসাব দেওয়ার আদেশ দুদকের
Published: 14th, August 2025 GMT
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তাঁর স্বামী মো. কবীর হোসেনকে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে তাঁদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো.
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০২৪–২৫ করবর্ষ পর্যন্ত মুন্নী সাহার নামে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার ৪০০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১১ কোটি ৯৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার ১৪৯ টাকা। ওই সময় পর্যন্ত তাঁর গ্রহণযোগ্য আয় ছিল ৩ কোটি ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৫১৩ টাকা।
অন্যদিকে কবীর হোসেনের নামে একই সময়ে ২ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার ১৩৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ২০৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। মোট সম্পদ ১৬ কোটি ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৪০ টাকা। তাঁর গ্রহণযোগ্য আয় ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৭২৫ টাকা।
দুদক বলছে, দুজনের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও আয়ের উৎস যাচাই করতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(১) ধারায় তাঁদের কাছে সম্পদের বিবরণী চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসাংবাদিক মুন্নী সাহা, তাঁর স্বামীসহ চারজনের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ১৬ জুলাই ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিজয়ের ব্যাটে খুলনার দাপুটে জয়
জাতীয় ক্রিকেট লিগে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে তারা হারিয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান তোলে। জবাবে বিজয়ের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে খুলনা।
আরো পড়ুন:
নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের জয়রথ থামাল রংপুর
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনার ৩ রানের জয়
রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫ ওভারেই ৪৩ রান তোলেন বিজয় ও ইমরানুজ্জামান। এই রানে জাহেদুল হক জায়েদের বলে রুয়েল মিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমরানুজ্জামান। তিনি ২১ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানের ইনিংস খেলে যান।
সেখান থেকে বিজয় ও আফিফ হোসেন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১১০ পর্যন্ত। এরপর আফিফ ফিরেন ৩ চারে ২১ রান করে। তার উইকেটটি নেন মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম। সেখান থেকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিজয়। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর মিঠুন ১ চারে অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।
তার আগে বরিশালের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মোটামুটি রান পান। তার মধ্যে ইফতেখার হোসেন ইফতি ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪, ফজলে মাহমুদ ১ চারে ৩২ ও আজমির আহমেদ ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৪ রান। এরপর সালমান হোসেন ইমনের ১৫ ও সোহাগ গাজীর অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান পর্যন্ত যেতে পারে বরিশাল।
বল হাতে খুলনার জিয়াউর রহমান ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। শেখ পারভেজ জীবন ৪ ওভারে ২৫ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও ইয়াসিন মুনতাসির।
৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বিজয়।
এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে খুলনা বিভাগ। অন্যদিকে ৫ ম্যাচের একটিও না জিতে টেবিলের তলানিতে আছে বরিশাল।
ঢাকা/আমিনুল