‘ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা` শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
Published: 20th, September 2025 GMT
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের মিলনায়তনে বেসরকারি অ্যাডভোকেসী প্রতিষ্ঠান ‘ভয়েস'র আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ডিজিটাল সুরক্ষার কৌশলপত্র উপস্থাপন করেন ভয়েস'র উপ-পরিচালক, মুশাররাত মাহেরা। তিনি বলেন, “নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল হুমকি ও হয়রানি এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে পেশাগত যোগাযোগ সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকে।”
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, “ডিজিটাল পরিসরে দিনদিন রাষ্ট্র, কর্পোরেট সংস্থা কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর নানা ধরনের নজরদারি, হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।”
কর্মশালার ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আশরাফুল হক ঝুঁকি আত্মবিশ্লেষণকারী থ্রেট মডেলিং, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন, ভিপিএন, টর ব্রাউজারে নিরাপদ ব্রাউজিং, এনক্রিপ্টেড বার্তা এবং ডেটা ব্যাকআপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন।
এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা, ভাইরাসযুক্ত লিংক চেনার উপায়, মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন মেনে চলা, গোপনীয়তা রক্ষা, মাঠপর্যায়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পাবলিক ওয়াইফাই এড়ানো ও জিও-লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ রাখা ইত্যাদি বিষয়ে দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে অনুশীলন করেন।
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুরক্ষা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করা তরুণ সাংবাদিক এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/রায়হান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে সাংবাদিকের ওপর হামলা ছিল রেকর্ড করা দ্বিতীয় ভয়াবহ ঘটনা
গত সপ্তাহে ইয়েমেনে সংবাদপত্র অফিসে ইসরায়েলি হামলায় ৩১ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী নিহত হয়েছেন। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শুক্রবার এ ঘটনাকে গত ১৬ বছরের মধ্যে সাংবাদিকদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।
১০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি সংবাদপত্র কমপ্লেক্সে ইসরায়েল হামলা চালায়। সেখানে হুতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনটি সংবাদপত্র ছিল। প্রকাশনার প্রধান সম্পাদকের মতে, সেই সময় ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর প্রেস শাখার সদস্যরা সাপ্তাহিক মুদ্রিত সংস্করণ শেষ করছিলেন। এর ফলে হামলার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সংখ্যা বেশি ছিল।
হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকের সাথে অফিসে আসা এক শিশুও ছিল এবং ১৩১ জন আহত হয়।
২০০৯ সালে ফিলিপাইনে মিন্দানাওয়েতে গণহত্যার পর সিপিজে-র রেকর্ড করা সাংবাদিকদের উপর এই হামলা ছিল দ্বিতীয় সবচেয়ে মারাত্মক।
২৬ সেপ্টেম্বরের প্রধান সম্পাদক নাসের আল-খাদরি সিপিজেকে বলেন, “এটি একটি নৃশংস এবং অন্যায্য আক্রমণ যা নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল মিডিয়াতে কাজ করা, যাদের হাতে কেবল কলম এবং মুখে কথা ছিল।”
সিপিজে জানিয়েছে, ইয়েমেনে এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের হত্যার বৃহত্তর ধরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সাংবাদিকদের যোদ্ধা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করে সেই হত্যাকাণ্ডের অজুহাত দেখানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ২৪৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
ঢাকা/শাহেদ