নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Published: 24th, September 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে শিশু, কিশোর -কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক প্রচার কার্যক্রম মিডিয়া কর্মীদের অংশ গ্রহনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক দিন ব্যাপি পরামর্শমুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে জেলা তথ্য অফিস এই কর্মশালার আয়োজন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: এ এফ এম মশিউর রহমান।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিনের সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক ফাহিমা জামান, সহকারী পরিচালক উজ্জ্বল হোসেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১৯ সালের এক স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। এবং ৮ হাজার জন মারা যায়। এরমধ্যে ৬৮ শতাংশই শিশু। সারাদেশে প্রায় ৫ কোটি ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সীদের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান শুরু হবে। এ টিকায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
প্রতিবছর প্রায় আট হাজারের বেশী শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারাযায়। গর্ববতি এবং দুগ্ধপান করা মায়েদের এই টিকা দেয়া যাবেনা।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮ লাখ ১০ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে গণমাধ্যম কর্মীদের জনসচেতনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে আহবান জানানো হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ট ইফয় ড ট ক দ ন ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নাসিক প্রশাসককে আমরা নাঃগঞ্জবাসী’র স্মারকলিপি পেশ
কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ চলমান রাখা সহ ১১ দফা দাবিতে নাসিক প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এর নিকট আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নেতৃবৃন্দ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্মারকলিপি পেশ করেন।
নাসিক প্রশাসক গভীর মনোযোগের সাথে দাবীগুলো শোনেন এবং দাবীগুলি যৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করে স্মারকলিপি গ্রহনপূর্বক দাবীগুলো দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ নবাগত প্রশাসক মহোদয়কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং নারায়ণগঞ্জের নাগরিক সমস্যা সমাধান ও জন কল্যাণে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
জানাগেছে, বেলা ১১টায় আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুর উদ্দিন আহম্মেদ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ শুরু এবং মেট্রো রেল প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ সদর ও মদনপুরকে সংযুক্ত করা সহ শহরের যানজট নিরসন ও বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নিম্নে বর্ণিত ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নে স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন মন্টু, সহ সভাপতি কুতুবউদ্দিন আহম্মদ, হাজী মোঃ রমজান উল রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক-১ মাহমুদ হোসেন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাজী লোকমান আহম্মদ, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম খান, সাংবাদিক আব্দুল লতিফ রানা প্রমুখ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কদম রসূল সেতু নির্মান কাজ চলমান রেখে সেতুর পশ্চিমাংশে র্যাম্প/ল্যান্ডিং পয়েন্টটি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উত্তর দিকে আরেকটি র্যাম্প/ল্যান্ডিং পয়েন্ট সংযোগের দাবী জানান। তাদের ১১ দফা দাবি হচ্ছে, বন্দরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে কদম রসুল সেতুর প্রয়োজনীয় র্যাম্প পরিবর্তন করে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু ও চলমাল রাখা। মেট্রো রেল গজঞ-২ প্রকল্পে নারায়ণগঞ্জ সদর ও মদনপুরকে সংযুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহন করা।
রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল খালের পানিতে ভাসমান কচুরীপানা ও ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করে তা প্রতি মাসে অন্তত: দুই বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বঙ্গবন্ধু রোড সহ শহরের সকল সড়ক বাতি এবং রাসেল পার্ক, জল্লারপাড় লেক ও বাবুরাইল লেকের চতুর্পাশে স্থাপিত নিশ্চল সড়ক বাতিগুলি ধারাবাহিক ভাবে সচল রাখা। মীরজুমলা রোড, সিরাজদ্দৌল্লা রোড ও শায়েস্তা খাঁন রোড সম্পূর্ণ হকার মুক্ত করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা।
২নং গেইট এর মোড় দিয়ে উল্টো পথে পশ্চিমে আলী আহাম্মদ চুনকা সড়কে অবৈধ ভাবে যান চলাচল প্রবেশ বন্ধ করা। বঙ্গবন্ধু সড়কের গলাচিপা মোড় থেকে উল্টোপথে ডানদিকে তথা দক্ষিনে যান চলাচল বন্ধ করা। ২নং গেইট দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিভাজকের দুই পার্শ্বেই গাড়ি চলাচলা নিশ্চিত করা।
২নং রেল গেইট থেকে বাস ষ্টোপেজ অপসারণ এবং এসএস রোড (চেম্বার রোড) থেকে বাম দিকে কোনাকুনি (মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভ সংলগ্ন) বঙ্গবন্ধু সড়কে যাওয়ার ফুটপাত ও রাস্তাটি হকার মুক্ত করে পথচারী ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।
২নং গেইট হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন দেওভোগ অঞ্চলে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পথ তৈরি করা। ২নং গেইট তথা আলমাস পয়েন্ট থেকে উত্তরে ২নং রেল গেইট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তাটি ১০/১৫ ফুট প্রশস্ত করা।
চাষাড়া মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু সড়কের পূর্ব পার্শ্বটি যান চলাচলে উন্মুক্ত রাখতে অবৈধ মিশুক ও সিএনজি ষ্টেশন অপসারন করা। এবং ২নং রেল গেইট থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে চাষাড়া পর্যন্ত অস্থায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও যান চলাচলে উন্মুক্ত করা।