চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুতর অসুস্থ, দোয়া চেয়েছেন ছেলে
Published: 1st, October 2025 GMT
চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তিনি সাত মাস ধরে অসুস্থ। গত ছয় মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ নিসচার এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ছেলে মিরাজুল মইন কানাডা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।
মিরাজুল মইন বলেন, ‘বাবা (ইলিয়াস কাঞ্চন) গত ২৬ এপ্রিল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ অবস্থান একমাত্র চিকিৎসাজনিত কারণে। এ বছরের শুরুতে তিনি শারীরিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা গত ৯ এপ্রিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মাথার এমআরআই করা হয়। রিপোর্টের ফলাফলে জানা যায় তাঁর মাথায় টিউমার হয়েছে।’
মইন আরও বলেন, ‘আগে থেকেই বাবা কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতেন। অনেক কিছু মনে করতে কষ্ট হতো। এমআরআই রিপোর্টে জানা গেল টিউমারজনিত কারণে এই সমস্যা দেখা গেছে। এই রিপোর্ট নিয়ে ১৩ এপ্রিল আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা একটি বোর্ড গঠন করে মতামত দেন তাঁর মাথায় অপারেশন করা ক্রিটিক্যাল হবে। কারণ, টিউমারটি ব্রেনের অনেক গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে। ডাক্তারদের এই মতামত জানার পরে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত কাগজপত্র ঠিক করে ২৬ এপ্রিল তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।’
লন্ডনে চিকিৎসার সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে মইন বলেন, ‘লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জারি ডাক্তারের অধীনে নেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। উল্লেখ্য, ডাক্তাররা অপারেশনের পূর্বে জানিয়েছেন পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। এতে জীবনহানিসহ প্যারালাইজড হয়ে চলন শক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। ডাক্তারের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে টিউমারটির কিছু অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেয় তাঁর পরিবার। বাকি অংশ ডাক্তার জানিয়েছেন, রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হবে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দিতে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ৬ সপ্তাহ চলবে এই রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির কাজ। এই মাসেই শুরু হবে চিকিৎসার এই ধাপ। চলবে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর ৪ সপ্তাহ ডাক্তারের অবজারভেশনে থাকবেন। পরে সেখানকার ডাক্তাররা যখন অনুমতি দেবেন, আশা করছি তখন তিনি বাংলাদেশে আসতে পারবেন।’
নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন তাঁর বাবা নিসচা প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা চেয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুতর অসুস্থ, দোয়া চেয়েছেন ছেলে
চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তিনি সাত মাস ধরে অসুস্থ। গত ছয় মাস ধরে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ নিসচার এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর ছেলে মিরাজুল মইন কানাডা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।
মিরাজুল মইন বলেন, ‘বাবা (ইলিয়াস কাঞ্চন) গত ২৬ এপ্রিল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এ অবস্থান একমাত্র চিকিৎসাজনিত কারণে। এ বছরের শুরুতে তিনি শারীরিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরিবারের সদস্যরা গত ৯ এপ্রিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মাথার এমআরআই করা হয়। রিপোর্টের ফলাফলে জানা যায় তাঁর মাথায় টিউমার হয়েছে।’
মইন আরও বলেন, ‘আগে থেকেই বাবা কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতেন। অনেক কিছু মনে করতে কষ্ট হতো। এমআরআই রিপোর্টে জানা গেল টিউমারজনিত কারণে এই সমস্যা দেখা গেছে। এই রিপোর্ট নিয়ে ১৩ এপ্রিল আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা একটি বোর্ড গঠন করে মতামত দেন তাঁর মাথায় অপারেশন করা ক্রিটিক্যাল হবে। কারণ, টিউমারটি ব্রেনের অনেক গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে। ডাক্তারদের এই মতামত জানার পরে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত কাগজপত্র ঠিক করে ২৬ এপ্রিল তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।’
লন্ডনে চিকিৎসার সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে মইন বলেন, ‘লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিন থেকেই সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জারি ডাক্তারের অধীনে নেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। উল্লেখ্য, ডাক্তাররা অপারেশনের পূর্বে জানিয়েছেন পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। এতে জীবনহানিসহ প্যারালাইজড হয়ে চলন শক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। ডাক্তারের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে টিউমারটির কিছু অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেয় তাঁর পরিবার। বাকি অংশ ডাক্তার জানিয়েছেন, রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হবে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দিতে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ৬ সপ্তাহ চলবে এই রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির কাজ। এই মাসেই শুরু হবে চিকিৎসার এই ধাপ। চলবে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর ৪ সপ্তাহ ডাক্তারের অবজারভেশনে থাকবেন। পরে সেখানকার ডাক্তাররা যখন অনুমতি দেবেন, আশা করছি তখন তিনি বাংলাদেশে আসতে পারবেন।’
নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন তাঁর বাবা নিসচা প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা চেয়েছেন।