বাবার আশঙ্কা, মায়ের গোপন সমর্থন—পলাশের গল্প
Published: 2nd, October 2025 GMT
শহুরে মেসজীবনের নানা টানাপোড়েন, হাসি-কান্না, প্রেম, বন্ধুত্ব ও খুনসুটি নিয়ে ২০১৮ সালে প্রচারিত হয় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর প্রথম সিজন। ধারাবাহিকটির এখন পঞ্চম সিজন চলছে। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান পলাশ, সবাই তাঁকে কাবিলা নামে এখন চেনে বেশি। পলাশ বলেন, ‘বাংলাদেশে এত ইউটিউব চ্যানেল, এত টেলিভিশন, এত কনটেন্ট—তারপরও মানুষ একটা কনটেন্টকে আলাদা করে মনে রাখছে। শুধু আমারটাই না, প্রতিটা চরিত্র মানুষ মনে রাখছে।’
কথা প্রসঙ্গে পলাশ বললেন, ‘এই নাটক মানুষের মন ও আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। মানুষ মনে করে, এখানে তাদের কথা বলছে, জীবনে ফেলে আসা কোনো একটা অনুভূতির কথা বলছে। মানুষ সহজে এটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পারে। ব্যাচেলর পয়েন্টের সাফল্যের এসব বড় একটা কারণ।’
হঠাৎ অভিনয়ে
অভিনয়ে আসার পরিকল্পনা পলাশের মাথায় ছিল না। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অভিনয়ের চক্করে পড়েন। তখন তিনি ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী। ২০১৫ সালে ‘কারসাজি’ ধারাবাহিকের কাজ চলছিল। একটি চরিত্রে রোমেল টুকটাক অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। পরে কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করলেন। বানালেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যেটিতে অভিনয় করলেন পলাশ। নাম ঠিক না হওয়া সেই ছবিটি মুক্তি পায়নি। পরে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে অভিনয় পলাশকে আলোচনায় নিয়ে আসে। পলাশ বললেন, ‘একজন নির্মাতাকে অভিনয়ও জানতে হয়। অভিনয়শিল্পীকে অভিনয়টা বুঝিয়ে দিতে হয়। অভিনয়ের একধরনের অভ্যাস আমার মধ্যে ছিল। অমি ভাই এই দিকটা মানুষের কাছে তুলে ধরেন। অভিনয়ে আসাকে ত্বরান্বিত করেছেন।’
কলেজজীবনে সহকারী পরিচালক
ঢাকার নাখালপাড়ায় পলাশের বেড়ে ওঠা। পরিচালক (বর্তমানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা) মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বাড়ির পাশেই ছিল পলাশদের বাড়ি। ফারুকীর বাড়ির নাম ছিল ‘একান্নবর্তী’, পলাশের কর্ণফুলী হাউস। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকে ফারুকীর প্রতি মুগ্ধতা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা–২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ বিএনপির একাংশের
সাতক্ষীরা–২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে দলের একাংশের নেতা–কর্মীরা সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন। ‘সাতক্ষীরা–২ আসনের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ’–এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা সাতবারের চেয়ারম্যান আবদুল আলিমকে দলীয় মনোনয়নের দাবি জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মিলবাজার ও আমতলা মোড় এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল এসে জড়ো হয় শহরের মিলবাজার এলাকায়। এ সময় কয়েক হাজার নেতা–কর্মী সমবেত হলে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের সামনে ঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, লাবসা ইউপি বিএনপির সভাপতি সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল বাসার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য নজিবুর রহমান, আবুল হাসান ও আতিয়ার রহমান।
আবদুল আলিমের সমর্থকদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া ত্যাগী নেতা–কর্মীদের প্রতি অবমূল্যায়ন।
বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল আলিম। তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের দুঃসময়ে আন্দোলন–সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন। তিনি দুর্দিনে দলের নেতা–কর্মীদের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন। প্রার্থী পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচন করায় আব্দুর রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কোনো চিঠি আমরা পাইনি।’
৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সাতক্ষীরা–২ আসনে মনোনয়ন পান আলিপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রউফ।