গণতন্ত্র মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দল ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ তাদের নামে সামান্য পরিবর্তন এনেছে। দলটির নতুন নাম, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’। বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির নতুন নির্বাহী কমিটিও গঠিত হয়েছে।

দলের সভাপতি হয়েছেন এত দিন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের জোয়ার সাহারা এলাকায় অবস্থিত এসএকে সেন্টারে আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও সম্মেলন চলছিল। সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কারের সারা দেশের ১৩০টি কমিটির প্রায় ২০০ প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন।

২০১২ সাল থেকে রাষ্ট্রচিন্তা নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসা একটি উদ্যোগ ২০২১ সালে রাজনৈতিক দলে রূপ নেয়। নাম হয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এবার সেই নামের শুরুতে যুক্ত হলো ‘বাংলাদেশ’ নামটি।

আজ রাষ্ট্র সংস্কারের বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের নবনির্বাচিত সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেন, ২০১২ সালে সংবিধানের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দাবিতে শুরু হওয়া একটা ছোট গ্রুপ আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দাবিতে জনমত তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু মানবিক রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন এখনো সম্ভব হয়নি। সেই লক্ষ্যে জুলাই সনদের একটি টেকসই এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বাস্তবায়নের পদ্ধতি জরুরি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সেটির ওপর শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘হাসিনার নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নিবন্ধন দেয়নি। পরে আদালত রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।’ বর্তমান নির্বাচন কমিশন দ্রুততম সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজকের সম্মেলনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নতুন নির্বাহী কমিটির নেতারা জুলাই সনদের যৌক্তিক ও টেকসই পরিণতি নিশ্চিত করার প্রতিজ্ঞা করেছেন বলে দলটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই’

ছোট পর্দার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ উড়াই-উতরাই দেখেছেন। সবকিছু পেছনে ফেলে পাড়ি জমিয়েছেন কানাডায়। কন্যা ওয়ারিশাকে নিয়ে সেখানে এখন বসবাস করছেন তিন্নি। দূর দেশ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব এই অভিনেত্রী। নিজের ভাবনা ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে এ মাধ্যমকে বেছে নেন এই তারকা। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকালে তিন্নি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায়, কন্যার গালে চুমু খাচ্ছেন তিন্নি। এ ছবির ক্যাপশনে এই অভিনেত্রী লেখেন, “আমি কখনো ডাক্তার দেখাইনি এই ভেবে যে, সম্ভবত আমার কোনো বড় অসুখ হইছে। কিন্তু এবার আমি নিজেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি। কারণ আমি জানতে চাই—আমি সুস্থ আছি না কি নাই।” 

আরো পড়ুন:

আপনার অনুপস্থিতি এখনো অবিশ্বাস্য মনে হয়: শাকিব খান

ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে ছিল বাংলার মাটি ও সংস্কৃতির স্পন্দন: শাকিব

পরের ঘটনা বর্ণনা করে তিন্নি লেখেন, “আমি আজ ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি চমৎকার একজন মানুষ। আমাকে অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সেগুলো করিয়েছি। আমার টেস্টের রিপোর্ট যাতে ভালো আসে, এজন্য আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। দয়া করে…। আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই। আমি এতটুকুই চাইলাম তোমাদের থেকে।” 

জীবন নিয়ে উপলদ্ধির কথা জানিয়ে তিন্নি লেখেন, ‘মানবজনম বড়ই মধুর, যদি হও মানুষ’—এটা কারো কথা বা কোট না, এটা আমার কথা…। আর আমার দাদুর কথা হলো, ‘মানুষ আপন, টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর।’ শুভ হোক মানব জন্মের।” 

২০০৬ সালে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে জন্ম নেয় কন্যা ওয়ারিশা। ২০১২ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির। এরপর হিল্লোল বিয়ে করেন নওশীনকে। ২০১৪ সালে আদনান হুদা সাদকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে আরিশা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে তিন্নির এ সংসারও ভেঙে যায়।   

২০০২ সালে আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় পঞ্চম রানার আপ নির্বাচিত হন তিন্নি। তারপর মডেলিংয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।  

২০০৪ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নির্মিত ধারাবাহিক ‘৬৯’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক দর্শকদের উপহার দেন এই অভিনেত্রী। ‘ডুবসাঁতার’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিন্নি। 

কেবল তাই নয়, একসময় শাকিব খানের সঙ্গে মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায়ও অভিনয় করেন তিন্নি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় ‘সে আমার মন কেড়েছে’ শিরোনামের সিনেমাটি। মুক্তির পর তিন্নিকে ঢালিউড গ্রহণও করেছিল। তাকে নিয়ে বেশ আলোচনাও তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকজন পরিচালক তিন্নিকে নিয়ে কাজের পরিকল্পনাও করেন। কিন্তু ওই সময়ই হিল্লোলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ফলে অনিয়ন্ত্রিত জীবনের ফাঁদে পড়েন; আর জনপ্রিয়তার মধ্যগগন থেকে ছিটকে পড়েন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশি দিন বাঁচতে চাই’