ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিককে বিনম্র শ্রদ্ধা, মরদেহ দান
Published: 4th, October 2025 GMT
জীবনের শেষ দিনগুলোতে ভাষাসংগ্রামী, রবীন্দ্র–গবেষক ও প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক ছিলেন নিঃসঙ্গ। তবে চিরবিদায়ের দিনে তাঁর অগণিত অনুরাগী, সুহৃদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন তাঁকে। বেদনাবিধুর হৃদয়ে মহানগরের দীর্ঘ পথ হেঁটে অনুগামী হলেন তাঁর অন্তিমযাত্রায়।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বারডেম থেকে আহমদ রফিকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এর আগে থেকেই তাঁর গুণগ্রাহী ও সুহৃদেরা পুষ্পস্তবক নিয়ে ভারাক্রান্ত মনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছিলেন। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম যে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়েছিল, তার উদ্যোক্তাদের অন্যতম ছিলেন সেই সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের তরুণ শিক্ষার্থী আহমদ রফিক। সেখানেই ৭৩ বছর পর শেষবারের মতো আনা হলো তাঁর নিথর মরদেহ। এখানে তাঁর কফিন ঢেকে যায় শ্রদ্ধার ফুলে। শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থাপনায় ছিল ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন বিপত্নীক ও নিঃসন্তান।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সচিব আবুল ফয়েজ মো.
শ্রদ্ধা নিবেদন করে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যদিও ভাষাসংগ্রামী হিসেবেই তাঁর পরিচয়টি প্রধান হয়ে উঠেছে, তবে তিনি ছিলেন আমাদের দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক। একাধারে তিনি কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। আর রবীন্দ্র–গবেষক হিসেবে তাঁর কাজ উভয় বাংলায় অতিগুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছে। আজীবন তাঁর কাজ ও রাজনৈতিক ভাবনা ছিল সমাজের রূপান্তরের সঙ্গে যুক্ত। ফলে তাঁর প্রয়াণ আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের সংগ্রামের তিনি প্রেরণা হয়ে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।’
আহমদ রফিককে শেষ শ্রদ্ধা জানান ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে মওদুদ আহমদের সমালোচনা নেই: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মওদুদ আহমদ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে ইতিহাসচর্চা করতেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে মওদুদ আহমদের কিছুটা সমালোচনা বা বিতর্ক থাকতে পারে, তবে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে তাঁর খুব বেশি সমালোচনা করার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত মওদুদ আহমদের লেখা ‘ডিমাইজ অব ডেমোক্রেসি: বাংলাদেশ অন দ্য ওয়ে টু এ ফেইলড স্টেট ২০০৯-২০১৯’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন।
এটি মওদুদ আহমদের লেখা শেষ বই। ২০০৯-১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের তীব্র সমালোচনা করে বইটি লেখা হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলের বর্ণনা দিয়ে বইটিতে নির্বাচনে কারচুপি, ভিন্নমতের দমন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
মওদুদ আহমদের লেখা ‘ডিমাইজ অব ডেমোক্রেসি: বাংলাদেশ অন দ্য ওয়ে টু এ ফেইলড স্টেট ২০০৯-২০১৯’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে