‘যারা দ্রুত নির্বাচন চায়, তাদের সঙ্গে ভারতের স্লোগান মিলে যায়’
Published: 4th, October 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘‘মৌলিক সংস্কার ও বিচারের আগে যারা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়া করছেন, তাদের স্লোগানের সঙ্গে ভারতের স্লোগান মিলে যায়। তাদের কথার সঙ্গে ভারতের ‘র’ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন হবে।’’
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর বাজার মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি নেতাসহ ৪১ জন
রাজশাহীতে পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতের গোলটেবিল বৈঠক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘‘দেশের মানুষ চেয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের পর মৌলিক সংস্কার, গণহত্যাকারী ও দেশের সম্পদ লুটকারীদের দৃশ্যমান বিচারের পর নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
তিনি বলেন, ‘‘বিগত ৫৩ বছর দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছে। নতুনভাবে তারা ক্ষমতা এসে দেশের মানুষকে কী উপহার দেবে, তারা এরই মধ্যে সিগন্যাল দিয়েছে। যেখানে একজন সাধারণ পানের দোকানদারও চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মানুষ এখন নীতি আদর্শের দল ইসলামকে দেখতে চায়। এ জন্য ইসলামী দলগুলো নির্বাচনে একটি বাক্স পাঠাবে।’’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ সামসুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক গাজী নিয়াজুল করিম।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের, নিহত ২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। আইডিএফ দাবি করেছে, দক্ষিণ গাজার রাফায় তাদের বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহত বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে কামানের গোলাবর্ষণের মাধ্যমে আক্রমণ শুরু হয়েছিল, যার ফলে একজন তরুণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, একই পাড়ায় একটি বেসামরিক সমাবেশে আরেকটি হামলায় আরো একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরো কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
মুখপাত্র জানান, গাজা শহরের জেইতুন পাড়ায় অবস্থিত গাজার এনডাওমেন্টস মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় এক গর্ভবতী নারী এবং একটি মেয়ে সহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তিনি জানান, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একদল বেসামরিক নাগরিকের উপর ইসরায়েলি হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আনাদোলুর একজন সংবাদদাতার মতে, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে এলাকা থেকে সরে এসেছিল, সেই এলাকাগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
হামাস ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। যুদ্ধাপরাধী (প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন) নেতানিয়াহু আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা পুনরায় শুরু করতে চাইছেন।”
হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে ইসরায়েলি দাবিকে ‘ইসরায়েলের অপরাধ ও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনকে ন্যায্যতা দেওয়ার একটি দুর্বল ও উন্মুক্ত প্রচেষ্টা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির গ্যারান্টিদাতা হিসেবে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারকে যুদ্ধবিরতির জন্য হুমকিস্বরূপ লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ