বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার
Published: 5th, October 2025 GMT
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।
আরো পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়ল
রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে আকুর ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
এরপর কমলেও ১৭ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর ১৮ দিন পর তা অতিক্রম করে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ, যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ব প এম ৬ অন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
রূপকথার গল্প লেখা হলো না রিপন–গাফফারদের, সুপার ওভারে জিতে চ্যাম্পিয়ন শাহিনস
পারলেন না রিপন মণ্ডল। পারলেন না আবদুল গাফফার। পারলেন না দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়ে রূপকথার গল্প লিখতে। কাতারের দোহায় ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য কিছুই করেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান। আর তাতেই খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালটাকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পেরেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে শেষ হাসিটা হাসল পাকিস্তান শাহিনসই। সুপার ওভারে রিপনদের হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো উদীয়মানদের এশিয়া কাপ জিতল শাহিনস নামেই পরিচিত পাকিস্তান ‘এ’ দল।
১২৬ রানের লক্ষ্য। ৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ ‘এ’। এরপর এসএম মেহেরব ও রাকিবুল হাসান আশার পালে হাওয়া লাগালেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি। এ দুজনও যখন ফিরলেন ৯৬ রানে ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।
এরপর গাফফারকে নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুই করলেন রিপন । পাকিস্তান শাহিনসের ইনিংসে বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া রিপন ব্যাট হাতেও খেললেন ১১ রানের ইনিংস। আরেক পেসার আবদুল গাফফারও (১৬*) সাহায্যের হাত বাড়ালেন। ১৯তম ওভারে ২০ রান তুললেও অবশ্য শেষ ওভারে ৭ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। তবে শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচটা টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালটাকে।
ব্যাটে–বলে দারুণ করেছেন রিপন মণ্ডল