রেসিপি দিয়েছেন শাহানা পারভীন
উপকরণমোরগের মাংস (ছোট টুকরা): ১ কেজি
পেঁয়াজকুচি: ১ কাপ
রসুনকুচি: ১ চা-চামচ
কাঁচা মরিচ: ২-৩টি
লবণ: স্বাদমতো
তেল: ১ কাপ
আলু: ৫-৬ টুকরা
ভিন্দালু পেস্ট তৈরি উপকরণকাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া: ২ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়া: ১ টেবিল চামচ
জিরার গুঁড়া: ১ চা-চামচ
সরিষাবাটা: ১ চা-চামচ
হলুদ গুঁড়া: আধা চা-চামচ
গোল মরিচ গুঁড়া: আধা চা-চামচ
সিরকা: ৪ টেবিল চামচ
সিরকার সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
আরও পড়ুনকয়লা মোরগের রেসিপি২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫প্রণালিসসপ্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন সামান্য ভাজুন।
ভাজা হলে ভিন্দালু পেস্ট দিন এবং কষান।
মোরগের মাংস দিন ৩-৪ মিনিট ভুনা করুন।
লবণ আলু ও ২ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন ৫ মিনিট।
মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিয়ে কম আঁচে ফোটান।
মাংস সেদ্ধ হলে কষিয়ে নামান।
ইচ্ছা হলে পছন্দমতো ঝোল রাখা যায়।
আরও পড়ুনদরবারি মোরগ মোসাল্লামের রেসিপি০২ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসার, সংসার, ব্যবসা—সাহসে রাঙানো সোহানীর জীবন
ক্যানসারে যেদিন স্বামীর মৃত্যু হলো, সেদিন ছিল বড় মেয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ড্রয়িংরুমে কফিনে তখন স্বামীর নিথর দেহ। শোক আর দায়িত্বের মাঝখানে দাঁড়িয়ে মেয়েকে সোহানী হোসেন বলেছিলেন, ‘জীবন ও সময় কারও জন্য থেমে থাকে না।’ এ কথা শুনে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল মেয়ে। ফিরে এসে কফিন ছুঁয়ে শেষবারের মতো বাবার মুখ দেখেছে মেয়ে।
নিজের জীবনের গল্প বলতে বলতে এভাবেই অনেক বছর আগের এক শোকের সকালে ফিরে গেলেন সোহানী হোসেন। তখন সোহানীর পাঁচ মেয়ের সবচেয়ে ছোট মেয়ের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর দুই মাস।
সোহানী বলেন, ‘মেয়ে তখন আমি বেরোলেই কাঁদত। বাইরে যাওয়ার জন্য রাখা কাপড় দেখলেই কান্নাকাটি শুরু করত। শৈশবটা দেখতে পারিনি ওর। একসময় দেখলাম, ওর কান্না বন্ধ হয়ে গেছে, ও কাঁদতে ভুলে গেছে। অথচ এখনো স্বপ্নে দেখি, আমার এই মেয়ে খুশিতে দৌড়াচ্ছে, খেলছে।’
স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুর পর রাশ টেনে ধরা
সোহানীর স্বামী মোবারক হোসেন রত্ন—পাবনার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শুটার। তাঁর মৃত্যুর পর সংসার ও ব্যবসার সব দায়িত্ব এসে পড়ে সোহানীর কাঁধে। স্বজনদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তির মামলা, পাঁচ মেয়েকে একা বড় করাসহ ব্যবসার জটিলতা—সবই সামলাতে হয়েছে একা হাতে।
২০১২ সালে নিজের শরীরে ধরা পড়ে স্তন ক্যানসার। এরপর শুরু হয় সোহানীর আরেক যুদ্ধ। চিকিৎসা চলেছে, জীবনও চলেছে। চলেছে ব্যবসার লড়াইও।
সোহানীর স্বামী মোবারক হোসেন রত্ন—পাবনার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শুটার। তাঁর মৃত্যুর পর সংসার ও ব্যবসার সব দায়িত্ব এসে পড়ে সোহানীর কাঁধে। স্বজনদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তির মামলা, পাঁচ মেয়েকে একা বড় করাসহ ব্যবসার জটিলতা—সবই সামলাতে হয়েছে একা হাতে।রূপকথার মতো এক পরিসর
গত ৩১ অক্টোবর পাবনার বাংলাবাজারের রূপকথা ইকো রিসোর্টে বসে কথা হয় সোহানীর সঙ্গে। বিশাল পরিসরের এই রিসোর্টের চারপাশে সবুজ আর শৌখিনতার ছোঁয়া। পাবনাবাসীর বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে রিসোর্টটি। বিকেলে টিকিট কেটে অনেকেই এখানে আসেন সময় কাটানোর জন্য।
রূপকথা ইকো রিসোর্ট ছাড়াও স্বামীর নামে নামকরণ করা জালালপুরের রত্নদ্বীপ রিসোর্টেরও মালিক সোহানী। ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গা থেকে অতিথিরা পাবনা গেলে বেশির ভাগই এ দুটি রিসোর্টে থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাঁচ মেয়ের সঙ্গে মা সোহানী হোসেন