ময়মনসিংহে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ
Published: 13th, November 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার ধিতুয়া গ্রামের পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের রোমান মিয়া (২৩) ও এমরান হোসেন (৩২)। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানায়, মুক্তাগাছার মানকোন ইউনিয়নের ওই কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাসে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে মুক্তাগাছায় নামে। পরে অটোরিকশায় করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে হেঁটে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। তখন অভিযুক্ত পংকজ দের সঙ্গে তার দেখা যায়। পংকজ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে ভিন্ন পথে চাপুরিয়া গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পংকজ ও তাঁর তিন সহযোগী রোমান মিয়া, আমির হোসেন ও এমরান মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী প্রথম আলোকে বলে, পঙ্কজ তার পূর্বপরিচিত হওয়ায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে সে রাজি হয়। কিন্তু তাকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ধর্ষণ করে ভোরে একটি মাছের খামারের সামনে ফেলে যায়। পরে সকালে লোকজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এদিকে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনজনকে ধরে বেঁধে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আজ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত নজনক
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে শ্বশুর বাড়িতে জামাতা-নাতী খুন
ময়নসিংহের হালুয়াঘাটে গভীর রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাতা ও নাতীনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জোড়া হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন- জামাতা রতন মিয়া (৩৫) ও তার মেয়ে নূরিয়া খাতুন (৭)।
রতন মিয়া প্বার্শবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় এলাকার খিশাকুড়ির আমির হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর উপজেলার রতনের সাথে বিয়ে হয় হালুয়াঘাট উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া এলাকার দুলাল মিয়ার মেয়ে জুলেখা খাতুনের। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন রতন।
এদিকে স্বামী সন্তানকে রেখে বছর দুই এক আগে দুবাই চলে যান জুলেখা। ২০২৪ সালে ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে যান জুলেখা। সম্প্রতি ফের ছুটিতে বাড়িতে আসেন তিনি। স্বামী রতন এবার তাকে বিদেশ না যেতে বলেন। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রতনের পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রতন ও তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/মিলন/এস