ডাকসু জিএস ফরহাদকে রাঙামাটিতে সংবর্ধনা
Published: 7th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নব নির্বাচিত জিএস রাঙামাটির সন্তান এস এম ফরহাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে শহরের আল-আমিন ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মডেল মাদ্রাসায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর আগে জিএস ফরহাদকে নিয়ে শহরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শহরের ভেদভেদি থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বনরুপায় শেষ হয়।
আল আমিন মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ অধ্যাপক নুরুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশীদ, রাঙামাটি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি মনসুরুল হক, ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙামাটি জেলার সভাপতি রবিউল ইসলাম, সেক্রেটারি ইরফানুল হক, কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাফি প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফরহাদ রাঙামাটির জন্য গর্ব। দুর্গম পাহাড়ের একটি মাদ্রাসা থেকে ঢাবি’র জিএস পদে আসীন হওয়াটা এটিই প্রমাণ করে সত্যিকারের মেধা, পরিশ্রম ও অধ্যবসায় থাকলে জীবনে যেকোন সুউচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব। আজকের প্রজন্মের জন্য ফরহাদ অনুপ্রেরণা।
জিএস এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, “আজকে এই সংবর্ধনা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। পাশাপাশি আগামীর লম্বা লড়াইয়ের জন্য সক্ষমভাবে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। আজকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি এটি আমাকে সাহস ও শক্তি জোগাবে, পাশাপাশি আরো বেশি দায়িত্বশীল করে তুলবে এই মানুষগুলোর জন্য কাজ করতে।”
ঢাকা/শংকর/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ফরহ দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে এবার গোয়াল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামের রাউজানে গোয়ালঘর থেকে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার পৌর এলাকার সুলতানপুর সরকারপাড়া এলাকা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়। আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আবু সাইদ (৩৭)। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, সাইদ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রাউজান থানায় আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাউজান-রাঙ্গুনিয়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেন।
পুলিশ জানায়, রাউজান থানার উপপরিদর্শক মো. কাউছার হামিদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযানে প্রথমে আবু সাইদের থেকে ৫টি পিস্তলের গুলি এবং ২০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে গোয়ালঘর থেকে একটি দেশি বন্দুক ও চারটি শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগেও তাঁর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তার আবু সাইদ দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ৭ নভেম্বর একই উপজেলার চৌধুরীহাট বাজারসংলগ্ন আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়ির পেছনের পুকুর সেচে একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি শটগান ও সাতটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র-গুলি গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হয়েছিল।
এরপর ১৭ নভেম্বর একই উপজেলা থেকে বিদেশি পিস্তল, ৪টি এলজি, ১টি রাইফেল, ১১টি গুলিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে বিদেশি পিস্তল, রাইফেল এবং আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে পুকুর সেচে।