তারেক রহমানের বক্তব্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রশংসিত : সাখাওয়াত
Published: 7th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে টেনে বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের নেতা তারেক রহমান কোনো বক্তব্যে দিতে পারেননি।
কারন ফ্যাসিবাদ সরকার আইন করে তারেক রহমানের বক্তব্যে নিষিদ্ধ করেছিল। যার কারনে বিগত ১৫টি বছর তিনি দেশের মানুষের উদ্দেশ্য কোনো ভাষণ কিংবা বক্তব্যে দিতে পারেনি। আর ৬ অক্টোবর এই প্রথম তিনি দেশবাসীর সামনে বক্তব্যে দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি'র আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপির অন্তর্গত বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্রীয় মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় পুরান বন্দর চৌধুরী নুপুর কমিউনিটি সেন্টারে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যদি এদেশের জনগণ ও দল এবং দলের নেতাকর্মীরা চায় তাহলেই আমি প্রধানমন্ত্রী হবো।
তার মানে হলো তারেক রহমান জনগণের প্রতি আস্থাশীল এবং জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। এতে করে তারেক রহমানের মধ্যে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ। আর জনগনই দেশের সকল ক্ষমতার উৎস।
তিনি আরও বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির একজন কর্মী। আমরা এই দলের একজন কর্মী হয়ে নিজেদেরকে গর্ববোধ মনে করি।
সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র কোটি কোটি কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। আর এই বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ঘাঁটি। বন্দর ইউনিয়নের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভালোবাসে এবং এই ইউনিয়নের মানুষ ধানের শীষকে ভালবাসে।
তাই মহানগর বিএনপি আমরা বন্দর ইউনিয়নকে অন্তত গুরুত্ব দেই এবং এই এলাকায় ইউনিয়নের মানুষকে ভালোবাসি। এই ইউনিয়নের মানুষকে সম্পৃক্ত রেখে বন্দরের জন্য কাজ করতে চাই। কারণ আপনাদের এখানে একজন শহীদ আছে তিনি হলেন যুবদল নেতা স্বজন।
আপনাদের কাছে সবচাইতে গৌরবের বিষয় কারণ শহীদের জন্মভূমি এটা। জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে কিন্তু তিনি শহীদ হয়েছেন। তাকে কিন্তু সারা বিশ্বের সকলেই স্মরণ করে। আমরা কিন্তু বহুবার স্বজনের বাড়িতে এসেছি। আমরাও কিন্তু শহীদ স্বজনকে শ্রদ্ধা করে স্মরণ করি আপনারও করবেন।
বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, মহানগর শ্রমিকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মল্লিক, জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মামুন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজিব, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন র জ য় উর রহম ন ব এনপ র স ন ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ড্রামের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় প্লাস্টিকের ড্রামের ভেতর থেকে নয়ন (৪৯) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে তক্কার মাঠ এলাকায় ড্রামের ভেতর মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নয়ন ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার পিলকুনি এলাকার সালামের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নয়নের দুটি স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা নয়নকে হত্যার পর লাশ গুম করে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, মরদেহটি একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে অন্য কোথাও হত্যার পর মরদেহ এখানে ফেলে যায়। হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য সিআইডি ও পিবিআই’র ক্রাইম সিন টিম আলামত সংগ্রহ করেছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক