বন্দরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আটক ৩
Published: 7th, October 2025 GMT
বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একাধিক মামলার পলাতক আসামী ও তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত (৩০) কে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ হামলাকারিকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর থানার সাবদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। এ দিকে সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন (৪২) কনস্টেবল মোবারক (৪৮) ও শিহাব (৩৫)।স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এর আগে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে প্রেমিক যুগল বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকায় ঘুরতে আসে। ওই সময় বন্দর থানার শাহীমসজিদ এলাকার শেখ শাহীন ওরফে রিং শাহীনের সন্ত্রাসী ছেলে ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা উল্লেখিত প্রেমিক যুগলদের আটক করে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ড হলে স্থানীয় জনতা সন্ত্রাসী কাটা সিফাতকে আটক করে পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আটককৃত সন্ত্রাসীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে থানার দিকে যাওয়ার পথে উৎপেতে থাকা আটককৃত তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত বাহিনী সদস্যরা পুলিশের গাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে বেদম ভাবে মারধর করে আটককৃত সন্ত্রাসী কাটা সিফাতকে পুলিশের হেফজত থেকে ছিনিয়ে নেয়৷
এলাকাবাসী জানিয়েছে, বন্দর থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী কাটা সিফাত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অত্যাচারে চরম ভাবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শাহীমসজিদ, সালেহনগর, বৌবাজার, শাহীমসজিদ খালপাড়সহ এর আশেপাশে এলাকাবাসী।
উল্লেখিত এলাকা গুলোতে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কাটা সিফাত মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপর্কম করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। সন্ত্রাসী কাটা সিফাত ও সন্ত্রাসী বাহিনী কবল থেকে চিরমুক্তির জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের নাম পরিচয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানো হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত ল ক ভ ক ত সন ত র স এল ক ব স আটকক ত
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে পুলিশের অভিযানে ৩ যুবক আটক
বন্দরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা বন্দর উপজেলার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার ছাদিক মিয়ার ছেলে কাউসার (২৬) একই এলাকার রাজিব মিয়ার ছেলে সাব্বির (১৮) ও নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার আলী হোসেন মিয়ার ছেলে হোসাইন (২৪)।
পুলিশ আটককৃতদের বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত একটি চুরি মামলায় এদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা থানার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চুরি ছিনতাই করে আসছিল।
আটককৃত ৩ জনের মধ্যে হোসাইন নামে এক যুবককে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।