ফিলিস্তিনের গাজায় দুই বছর ধরে আগ্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানালেন ঢাকার কবি, শিল্পী, সংস্কৃতিজনেরা। গান গেয়ে, আবৃত্তি করে, ছবি এঁকে আর অভিনয়ে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। সংহতি প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনের মানুষের স্বাধীনতার দাবির প্রতি।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘আওয়াজ তোলো, রুখে দাঁড়াও’ স্লোগান নিয়ে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে দৃক গ্যালারি এই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজন করেছিল। দৃকপাঠ ভবনের অষ্টম তলায় এ অনুষ্ঠানে রাজধানীর প্রতিবাদী শিল্পী–সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক তরুণ অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। অবিলম্বে তাঁরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবি করেন। বিশ্ববিবেকের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে তাঁরা বললেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান শিল্পী সায়ান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের, নিহত ২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। আইডিএফ দাবি করেছে,  দক্ষিণ গাজার রাফায় তাদের বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহত বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে কামানের গোলাবর্ষণের মাধ্যমে আক্রমণ শুরু হয়েছিল, যার ফলে একজন তরুণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

তিনি আরো জানান, একই পাড়ায় একটি বেসামরিক সমাবেশে আরেকটি হামলায় আরো একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরো কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

মুখপাত্র জানান, গাজা শহরের জেইতুন পাড়ায় অবস্থিত গাজার এনডাওমেন্টস মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় এক গর্ভবতী নারী এবং একটি মেয়ে সহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

তিনি জানান,  দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একদল বেসামরিক নাগরিকের উপর ইসরায়েলি হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আনাদোলুর একজন সংবাদদাতার মতে, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে এলাকা থেকে সরে এসেছিল, সেই এলাকাগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামাস ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। যুদ্ধাপরাধী (প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন) নেতানিয়াহু আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা পুনরায় শুরু করতে চাইছেন।” 

হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে ইসরায়েলি দাবিকে ‘ইসরায়েলের অপরাধ ও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনকে ন্যায্যতা দেওয়ার একটি দুর্বল ও উন্মুক্ত প্রচেষ্টা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির গ্যারান্টিদাতা হিসেবে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারকে যুদ্ধবিরতির জন্য হুমকিস্বরূপ লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর অবিলম্বে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের, নিহত ২৫
  • জুলাই গণহত্যার বিচার যেন প্রতিহিংসার বা প্রতীকী না হয়: সিপিবি