বিসিবি নির্বাচন স্থগিত না করা ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার ৪৮টি ক্লাব। বুধবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ক্লাবগুলো।

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর তামিম ইকবাল আড়ালে ছিলেন। আজকের  সংবাদ সম্মেলনে তিনিও হাজির হয়ে লিগ বর্জনের সিদ্ধান্তে একাত্মতা জানিয়েছেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান বলেছেন, ‘‘আমরা একই কথা বারবার বলে ক্লান্ত। আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে ৬ তারিখের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে। এই বয়সে আমরা বহু বিতর্কিত নির্বাচন দেখেছি, রাতের ভোট এবং দিনে কারচুপি দেখেছি। সব কিছুকে ছাপিয়ে সবার সামনেই এবারের ভোট হলো। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাদের কথা যেহেতু তাদের কানে পৌঁছায়নি, সেজন্য আমরা আসন্ন সব প্রতিযোগিতা বর্জন করব।’’

আরো পড়ুন:

বিসিবির পরিচালক নির্বাচনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

সর্বসম্মতিক্রমে বিসিবি সভাপতি আমিনুল

তিনি আরও বলেন, ‘‘সামনে ফেডারেশন ক্রিকেট লিগ আছে, সেখান থেকে যাবতীয় দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ আছে, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ থেকে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার ডিভিশন আমরা যে সব ক্লাব আছি ভেবেছিলাম অংশ নেব। আজ থেকে আমরা বলতে চাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য হারিয়েছে। আপনারা যদি এভাবে চালাতে চান আমরা ক্রিকেট খেলব না। আপনারা যারা ক্লাব প্রতিনিধি আছেন কাউকে যদি হুমকি দেয়া হয়, ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলা হয় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। আপাতত ক্রিকেট বন্ধ থাকবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি।’’

এদিকে সমঝোতার সঙ্গে একমত ছিলেন না দেখেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম। স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ী হতেন বলে বিশ্বাস তার। কিন্তু নির্বাচনের মারপ্যাঁচ এতোটা খারাপ হবে ভাবেননি।

তামিম বলেন, ‘‘সমঝোতার সঙ্গে আমরা একমত ছিলাম না দেখেই তো আমরা বের হয়ে এসেছি। কিছু কিছু জিনিস আমাদের দিক থেকে এতটুকুই থাকুক। এটা নিয়ে পাবলিকলি আলোচনা করি এটা ঠিক না। প্রথম দিন থেকেই অবস্থান একই ছিল। ঠিক এ কারণেই এখান থেকে সরে আসা।’’

তামিম আরও যোগ করেন, ‘‘আমি এটা গ্যারেন্টি দিয়ে বললাম। আমি স্বতন্ত্র হিসেবে যদি দাঁড়াতাম আমার পক্ষে কোন টিম আছে, আমার বিপক্ষে কোন টিম আছে; তারপরও আমি সহজেই পাশ করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কপ-৩০: অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত আলোচকরা

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ এ আলোচকরা একটি অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছেন। আলোচকরা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর পদক্ষেপ এবং জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার সমাধান করার পর এই ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশগুলো এখনও একত্রিত হতে পারে সেই বিষয়টি প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলন শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আলোচকরা অচলাবস্থা সমাধানের জন্য অতিরিক্ত সময় লেগেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আয়োজক দেশ ব্রাজিলের নেতৃত্বে সারা রাত ধরে আলোচনার পর অচলাবস্থার সমাধান হয়েছে। অবশ্য চূড়ান্ত চুক্তির পাঠ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি এবং সমঝোতার বিশদ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

বিষয়টির সাথে পরিচিত দুটি সূত্র শনিবার সকালে রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো চুক্তির পথে বাধা না হতে সম্মত হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট স্থানীয় সময় বেলা ১১ টায় সম্মেলনের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সময়সূচি নির্ধারণ করেছেন। 

২০২৩ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নত দেশে থেকে দরিদ্র দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়নের প্রবাহের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য ভাষাগত চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল।

এবারের সম্মেলনের সভাপতি আন্দ্রে কোরিয়া দো লাগো শনিবার জানিয়েছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জীবাশ্ম জ্বালানি এবং বন রক্ষার বিষয়ে একটি পার্শ্ব লেখা প্রকাশ করবেন। কারণ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু আলোচনায় এই বিষয়গুলোতে কোনো ঐক্যমত্য হয়নি।

তিনি বলেছেন, “আমি ঘোষণা করব যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দুটি রোডম্যাপ তৈরি করবেন। কারণ দৃশ্যত আমাদের ঐকমত্য অর্জনের জন্য পরিপক্কতা ছিল না। আমি বিশ্বাস করি যদি আমরা প্রেসিডেন্টের অধীনে এটি করলে আমাদের ভালো ফলাফল থাকবে।”

আলোচনার সাথে পরিচিত একটি সূত্রের মতে, ২০২৫ সালের দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রার উপর ভিত্তি করে ধনী দেশগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিযোজন তহবিল তিনগুণ করার ব্যাপারে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একমত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপ-৩০: অস্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে একমত আলোচকরা