বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসমান একটি মাছধরা ট্রলারসহ ২৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নিয়মিত টহল কার্যক্রমের সময় নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা শহীদ মহিবুল্লাহ’ ট্রলারটি শনাক্ত করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।

চট্টগ্রামস্থ ঈশা খাঁ ঘাঁটি নৌবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার বাতিঘর থেকে প্রায় ২৭ নটিক্যাল মাইল দূরে ‘এমভি তাজমিনুর রহমান’ নামে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে জেলেরা মাঝসমুদ্রে আটকে পড়ে। ট্রলারের অস্বাভাবিক গতিবিধি দেখে নৌবাহিনীর সদস্যরা কাছে এগিয়ে গেলে বিপদ সংকেত শনাক্ত করে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।

আরো পড়ুন:

গভীর নিম্নচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা 

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

উদ্ধারের পর ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত জেলেদের তাৎক্ষণিকভাবে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ট্রলারসহ তাদের নিরাপদে তীরে নিয়ে এসে পরিবার ও মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জেলেদের তথ্য অনুযায়ী, ট্রলারটি ৩০ সেপ্টেম্বর মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিল এবং ৩ অক্টোবর ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উদ্ধারকৃত সবাই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জানিয়েছে, দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষা ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তায় তাদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র অভ য ন উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।

ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ