Narayanganj Times:
2025-10-08@18:41:54 GMT

বাস্তব দর্শনে  যাহা বলে

Published: 8th, October 2025 GMT

বাস্তব দর্শনে  যাহা বলে

আপনার কথার দ্বারা মানুষের সম্মানহানি হচ্ছে না তো; আত্ম মর্যাদায় আঘাত হানছে না তো? কথা বলার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল করা অত্যন্ত জরুরী; যদি তাই হয়, তাহলে আত্মসম্মান রক্ষার্থে মানুষ দূরে চলে যায় ও যাবে।

 লোক সম্মুখে কথার ছলে; মজার ছলে কাউকে খোঁচা দিয়ে কথা বলা তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার স্বামীল ; এতে একজনের আত্মমর্যাদা ও সম্মান ক্ষুন্ন হয়। তখন ওই লোকটি তার আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে, সম্মান রক্ষার্থে বহুদূর চলে যায় ও যাবে। 

 উপরে উপরে সুনাম করা, আর তলে তলে দুর্নাম করা স্পষ্টত চোগোলখোরী; হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মান নষ্ট করার জন্যই চোগোলখোরী করা হয়। মনে রাখা উচিত যে, কোন সময়ই চোগোলখোরী চাপা থাকে না ; যখন প্রকাশ পায়, তখন চোগলখোর থেকে মানুষ দূরত্ব বজায় রাখে ও রাখবে।

 কথা দেওয়া ও গোপন কথা মানুষের কাছে আমানত। যখন কথা দিয়ে কথা না রাখা ও গোপন কথা ফাঁস করে দেওয়া হয়, তখন আমানত ভঙ্গ হয়ে যায়। এমন ধরনের আমানত ভঙ্গ হওয়া মানে উদ্দেশ্য প্রমাণিতভাবে মানুষের সম্মানকে নষ্ট করা। আর এমন আমানত ভঙ্গকারীকে মানুষ ঘৃণা করে, দূরত্ব সৃষ্টি করে দূরে রাখে ও রাখবে।

 মানুষকে সম্মান করলে সম্মান পাওয়া যায়; না করলে নাই। যেখানে সম্মান নাই সেখানে মানুষ থাকে না। মানুষ সম্মান ও সুনামের কাঙ্গাল। তাই যেখানে সম্মান নাই  সেখানে দূরত্ব তৈরি হয় ও হবে।

অন্যের কথাকে সম্মান জানিয়ে তার কথা সমাপ্ত করার সুযোগ দিতে হবে। অপর পক্ষে শ্রোতাকেও প্রশ্ন করা, কথা বলার সুযোগ করে দিতে হবে। কেউ প্রসঙ্গ তুলে দিল, আর কেউ বক্তৃতা দেওয়া শুরু করে দিল আবার প্রসঙ্গ তুলে দেওয়া লোকটি বক্তার বক্তব্যকে মাঝপথে থামিয়ে দিল; এর মানে বক্তার কথাকে অসম্মান করা, বক্তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা। এমন ক্ষেত্রে বক্তা ওই স্থান-কাল-পাত্র  থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয় ও নিবে।

মানুষের শারীরিক, অর্থনৈতিক, পারিবারিক  অবস্থা যেমন সকলেরই এক নয় ; পৃথক পৃথক বা কাছাকাছি, তেমনি  মানুষের মন-মগজ, জ্ঞান- বুদ্ধি, চাল-চলন, বেশ-ভূষা, কৃষ্টি-কালচার, সামাজিকতা, সার্টিফিকেট-শিক্ষাও এক নয় ; পৃথক পৃথক বা কাছাকাছি। এখন উক্ত বিষয়গুলি নিয়ে মানুষে মানুষে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে কেউ কারো সাথে মিশে চলতে পারবে না; যদি তাই করে, তাহলে মানুষে মানুষে  বিভেদ সৃষ্টি হয়। যদি পারস্পরিক সম্মান বোধ রেখে চলা যায়, জ্ঞানী ও গুণীদের কদর করা যায়, সম্মান শ্রদ্ধার সাথে ভালোবাসা যায়, তাহলে মানুষের ভিতরে পারস্পরিক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে, ঐক্য গড়ে ওঠে, সম্প্রীতি গড়ে ওঠে, বিভেদহীন সুন্দর একটি সমাজ গড়ে তোলা যায়। আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত, মানুষ হল  একটি বৃক্ষের শাখা প্রশাখার মত; যেমন সকল শাখা প্রশাখা মূল কাণ্ড নিয়ে গড়ে ওঠে একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ ফলজ বৃক্ষ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক, গণপিটুনি

সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।

ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ