টিএইচই র্যাঙ্কিং: দেশ সেরা ড্যাফোডিল, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে যবিপ্র
Published: 9th, October 2025 GMT
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬’-এ ১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।
প্রকাশিত এ র্যাঙ্কিং অনুযায়ী দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থান এবং দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে যবিপ্রবি।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবির উপ-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আসবাবপত্র লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ
দিনে শিক্ষার্থী, সন্ধ্যায় দোকানী রুবেল
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে এ র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত এ তালিকায় আছে দেশের মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সবগুলোর অবস্থান ৮০০ এর পরে।
শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল ৮০১ থেকে ১০০০ এর মধ্যে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে। একই সীমার মধ্যে দ্বিতীয় গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
১০০১ থেকে ১২০০ এর মধ্যে থেকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একই সীমার মধ্যে থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সপ্তম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), অষ্টম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দশম স্থানে রয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
এর বাইরে ১১তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১২তম আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ১৩তম অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৫’-এ যবিপ্রবির অবস্থান ছিল ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ ত অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন শুরু কাল, তিন জাহাজে যাচ্ছেন ১২০০ পর্যটক
আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক পরিবহন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—দুই মাস প্রতিদিন দুই হাজার করে পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ ও রাতযাপনের সুযোগ পাবেন। যাত্রার প্রথম দিনে তিনটি জাহাজে মোট ১ হাজার ২০০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে জাহাজমালিকদের সংগঠন।
প্রতিদিন সকাল সাতটার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যাবে। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাবে। পরদিন বেলা তিনটার দিকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ কক্সবাজারে ফিরবে। একদিকে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনে দুই হাজার পর্যটক আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনটি জাহাজে ১ হাজার ২০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। রাতের মধ্যে আরও কিছু টিকিট বিক্রি হতে পারে। পর্যটক কমে গেলে সব জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।’ তিনি জানান, সোমবার সকালে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নিয়ে পর্যটকদের প্রথম বহর দ্বীপে যাবে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘টানা ১০ মাস বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বর থেকে দুই মাসের জন্য দ্বীপ খুললেও পর্যটকের সাড়া কম। ২৩০টির বেশি হোটেল–রিসোর্ট, কটেজ থাকলেও অধিকাংশ কক্ষ খালি পড়ে থাকার আশঙ্কা আছে।’
কঠোর নির্দেশনা মানতে হবেসরকারি ঘোষণায় বলা হয়, ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও রাতযাপনের সুযোগ না থাকায় এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় নভেম্বরে কেউ ভ্রমণে যেতে পারেননি। ডিসেম্বর–জানুয়ারি দুই মাস রাতযাপনের অনুমতি থাকলেও জাহাজ চলাচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
দ্বীপের এমন সৌন্দর্য বিমোহিত করে পর্যটকদের