ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগরওয় ল র স থ বর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

দিলীপ কুমারের ফ্ল্যাট, দোকানসহ স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাতটি ফ্ল্যাট, দুটি দোকানসহ ৩৩ দলিলের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন এসব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৮ হাজার ৪০৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। আগরওয়ালা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৮৫ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ১২৩ টাকা জমা ও ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলনসহ সর্বমোট ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামির নামে ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির না হওয়ায় পর্যন্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির স্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ২২ জুলাই পরিবারসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দেশত্যাগ নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন একই আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ