ফতুল্লায় অপহৃত বাশু শেখ উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার
Published: 9th, October 2025 GMT
ফতুল্লায় মোঃ বাশু শেখ (৫৪) নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে ফারদিন (২৮) নামের এক অপহরণকারী কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
একই সঙ্গে থানায় অভিযোগ করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ফারদিন ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা নয়ামাটি এলাকার মৃত হাজী নজরুল ইসলামের ছেলে।
এঘটনায় মোঃ বাশু শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় অপহরন মামলা দায়ের করে। মামলার আসামিরা হলো ফারদিন, হাবিবুর রহমান লিপুু,জালাল ওরফে জামাল সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা মেরিএন্ডার রেস্তোরার গেইটের সামনে থেকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গ্রেফতারকৃত ফারদিন, হাবিবুর রহমান লিপুু, জালাল ওরফে জামাল সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন মোঃ বাশু কে জোরপ্র্বূক অপহরন করে।
এসময় অভিযুক্তরা তাকে চোখ বেধে পাগলা নুরাবাগ ক্যানেল পাড়স্থ গ্রেফতারকৃত ফারদিনের গোডাউনে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তাকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা তার নিকট ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।
নির্যাতনের সময় মোঃরাশু ডাক-চিৎকার করলে অপহরনকারীরা তার চোখ খুলে দিয়ে মুখে কাপড় গুজে দেয়। তাকে লোহার রগ,পিস্তলের বাট, দিয়ে সারারাত নির্যাতন করে।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নন্দন সরকার জানান,অপহরনের একদিন পর বুধবার সন্ধ্যায় অপহরনের শিকার রাশু শেখের স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় এসে একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
সাধারন ডায়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বুধবার সারারাত ভর অভিযান পরিচালনা শেষে রাশু শেখ কে দেলপাড়াস্থ একটি পরিত্যাক্ত ভবন থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে উদ্ধার করে।
ধারনা করা হচ্ছে পুলিশ অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অপহরনকারীরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী অপহরনকারী চক্রের সদস্য ফারদিন কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ী অপহরণ, হাতুড়িপেটার পর মুক্তিপণে মুক্তি
সোনারগাঁয়ের মিরেরটেক বাজার থেকে মো. মুকবিল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হাতুড়ি পেটার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ভোরে ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা যাওয়ার পথে সে অপহরণের শিকার হন। এ ঘটনার পর অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপল আদায় করে অপহরণকারীরা।
বর্তমানের অপহৃত ব্যবসায়ী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ছোট ভাই শাহ আলম বাদি হয়ে গত বুধবার রাতে দু’জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা গ্রামের মৃত আব্দুল বাছেদের ছেলে মো. মুকবিল হোসেন মাংস ও ভুড়ি ব্যবসায়ী।
গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা যাওয়ার পথে ওই ইউনিয়নের মিরেরটেক বাজার এলাকায় পৌছালে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আতাবুর রহমান ও রুস্তম আলীর ছেলে পনির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের একটি দল ব্যবসায়ী মুকবিল হোসেনকে টেনে হেচড়ে জোরপূর্বক কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ ও হাত পা বেধে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
এসময় তার সঙ্গে থানা নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতুড়ি পেটা করে। এতে তার হাত, পা, বুক ও পিঠে জখম হয়। পরে তার স্ত্রীর কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীর পরিবারের কাছ থেকে তার বিকাশ নাম্বারে ৬০ হাজার টাকা পাঠায়। মুক্তিপণ দেওয়ার পর ব্যবসায়ীকে ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেওয়ানবাগে হাত, পা ও চোঁখ বাধা অবস্থায় ফেলে যায়।
পরে অপহৃত ব্যবসায়ী মহাসড়কের চলাচলরত লোকজনের সহযোগিতায় হাত, পা ও চোঁখের বাধন খুলে তাদের মোবাইলে পরিবারকে ডেকে আনেন। এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারী হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
দু’দিন চিকিৎসা শেষে বুধবার বাড়িতে আসলে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃত ব্যবসায়ীর বড় ভাই শাহ আলম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় বুধবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অপহৃত ব্যবসায়ী মো.মুকবিল হোসেন জানান, তাকে আতাবুর রহমান ও পনির হোসেন মীরেরটেক এলাকায় মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক ধাক্কা দিয়ে তুলে নেয়। পরে গাড়িতে আরো ৫-৬জন ছিল। হাত,পা ও চোখ বেধে তাকে কোথায় নিয়ে গেছেন তা জানেন না।
এক পর্যায়ে তাকে হাতুড়ি পেটা করে তার মোবাইল ফেলে পরিবারের কাছ থেকে ৬০হাজার টাকা বিকাশে নিয়েছেন। এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত পনির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনিও অপহরণের ঘটনা শুনেছেন। এঘটনার সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার আদ্যোপান্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।