জিইউবির সাংবাদিকতা বিভাগে ‘ক্যাম্পাস মিডিয়া ওয়ার্কশপ’
Published: 11th, October 2025 GMT
গ্রিন ইউনিভার্সিটির (জিইউবি) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের উদ্যোগে ‘ক্যাম্পাস মিডিয়া ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসের জেএমসির মিডিয়া ল্যাবে এই ‘ক্যাম্পাস মিডিয়া ওয়ার্কশপ’ হয়। ওয়ার্কশপের শিরোনাম ছিল ‘ওয়ার্কশপ অন ক্যাম্পাস জার্নালিজম অ্যান্ড নিউজ স্টুডিও অপারেশন।’
আরো পড়ুন:
ধামরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ
এনটিভির সাংবাদিক মাহবুব আর নেই
বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড.
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। ওয়ার্কশপে মূল বক্তা ও ফ্যাসিলিটেটর ছিলেন রেডিও বিক্রমপুর এফএম ৯৯.২ এর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আউলাদ হোসেন খান। আরো বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহ নিস্তার জাহান কবীর।
ওয়ার্কশপে ‘ক্যাম্পাস মিডিয়া’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেএমসি ল্যাব কো-অর্ডিনেটর কাজী মাহাদী মুনতাসির। এছাড়া ‘ক্যাম্পাস মিডিয়া কনটেন্ট’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেএমসির ২২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোমেনুল ইসলাম।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএমসি মিডিয়া ক্লাব মডারেটর ও প্রভাষক মঞ্জুর কিবরিয়া ভূঁইয়া, প্রভাষক মোহাম্মদ বায়েজীদ খান ও জান্নাতুল ফেরদৌস মীম।
ওয়ার্কশপ উপস্থাপনায় ছিলেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ইমু আক্তার মীম।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ এমস উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী মেডিকেলকে ৩৬ কোটি টাকার বিদেশি ওষুধ অনুদান
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকার ইনজেকশন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ডিরেক্ট রিলিফ। প্রতিটি ইনজেকশনের দাম প্রায় চার লাখ টাকা হলেও রোগীরা পাবেন বিনা মূল্যে।
গত বুধবার এসব ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌঁছায়। কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষ করে আজ শুক্রবার সকালে সেগুলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
ইনজেকশনগুলোর মেয়াদ আগামী বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক ডিরেক্ট রিলিফের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেগুলো আনার ব্যবস্থা করেন। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অ্যাডালিমুমাব মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস, অ্যাংকাইলোজিং স্পন্ডাইলাইটিস, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিসসহ কয়েক ধরনের অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ওষুধে যাদের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে না, তাদের জন্য এ ইনজেকশন কার্যকর। একজন রোগীর একাধিক ডোজ নেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। বায়োলজিক হওয়ায় ওষুধটির উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
রাজশাহী মেডিকেলের সঙ্গে ডিরেক্ট রিলিফের যোগাযোগ শুরু হয় কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শীর্ষ শ্রেয়ানের হাত ধরে। গত জুলাইয়ে এমবিবিএস শেষ করা শীর্ষ এখন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। পঞ্চম বর্ষে পড়ার সময় তিনি ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের’ (ডব্লিউএসও) গবেষক দলে যুক্ত হন। তাঁদের যৌথ গবেষণা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয় এবং ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেরা গবেষণার স্বীকৃতি পায়।
ডিরেক্ট রিলিফের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক গর্ডন উইলকক গবেষণাপত্রটি দেখে শীর্ষকে গত মার্চে ই-মেইল করেন। তিনি জানান, সংস্থাটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাল্টেপ্লেস দিতে চায়। শীর্ষ বিষয়টি জানালে এতে যুক্ত হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক আজিজুল হক ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ।
এই উদ্যোগের ফলে গত ২৫ আগস্ট হাসপাতালে পৌঁছায় আড়াই হাজার ভয়াল অ্যাল্টেপ্লেস, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা। স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ফলে জমাট বাঁধা রক্ত গলাতে ব্যবহৃত এই ওষুধের প্রায় ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যেই রামেক হাসপাতালের রোগীদের প্রয়োগ করা হয়েছে।
ওই সফলতার পর বাতের ওষুধ আনার উদ্যোগ নেন অধ্যাপক আজিজুল হক। দুই মাস আগে তিনি ডিরেক্ট রিলিফের কাছে আধুনিক বায়োলজিক ইনজেকশন সরবরাহের অনুরোধ করেন। সংস্থাটি দ্রুত সাড়া দেয়। ওষুধটি আনতে প্রয়োজন হয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন।
অধ্যাপক আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যাডালিমুমাবের কপি সংস্করণ আছে। এটাও খুব দামি। গরিব মানুষের নাগালের বাইরে। ডিরেক্ট রিলিফের এই অনুদানের ফলে অনেক রোগী দীর্ঘ সময় ব্যথামুক্ত থাকতে পারবেন।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, এর আগে পাওয়া ১৭ কোটি টাকার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ওষুধ এখনো বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। নতুন যোগ হওয়া বাতের ইনজেকশন অসচ্ছল রোগীদের জন্য আশীর্বাদ হবে। কোন রোগী ইনজেকশন পাবেন, তা মেডিসিন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক আজিজুল হক নির্ধারণ করবেন।