টাঙ্গাইলে মহাসড়ক থেকে সরলেন আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 13th, October 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে যমুনা সেতুর পূর্ব গোল চত্বর এলাকা থেকে সরে যান তারা। ফলে মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে, আজ সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা যমুনা সেতুর পূর্ব গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়ার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস চলাচল শুরু
আন্দোলনকারী রাকিব মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে যোগ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
সুমন চক্রবর্তী নামে অপর আন্দোলনকারী জানান, টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে না থাকলে টাঙ্গাইলকে বিভাগ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন তারা ।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন টাঙ্গাইলকে এই বিভাগে যুক্ত করার কথা ছিল। জেলাবাসীর আন্দোলনের মুখে টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগেই রাখা হয়।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান জানান, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ইউএনও অবর ধ ট ঙ গ ইলক
এছাড়াও পড়ুন:
ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও ঢাকা বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে প্রস্তাবিত ৬৫তম জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় লোকজন। একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ‘ভৈরবের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে অন্তত ৩০ মিনিট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রসঙ্গত, ভৈরবকে ৬৫তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর একটি পরীক্ষা ও পর্যালোচনা কমিটি করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময় জেলা করার ব্যাপারে অন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার। এ ছাড়া সম্প্রতি কিশোরগঞ্জকে সরকার ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে সরকারিভাবে এমন ঘোষণার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই খবরের ভিত্তিতে আজ বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।
বিক্ষোভে অন্যদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ, উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবির আহমেদ, সমাজকর্মী হান্নান আহমেদ, জুনায়েদ আহমেদ, রাকিবুল হাসান, রিয়াজ আহমেদ, মো. কাকন, জাহিদুল ইসলাম, মো. জিহাদ, সাইমন আহমেদ, মো. স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা দ্রুত ভৈরবকে জেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানান।
সভা শেষে বিক্ষুব্ধ লোকজন ভৈরব উপজেলা অভিমুখে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা ভৈরব–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। দাবি আদায় না হলে রেল ও সড়কপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।