যেসব কারণে প্রস্রাবে ফেনা হয়

অনেক কারণেই প্রস্রাবে ফেনা হতে পারে—

লম্বা সময় প্রস্রাব চেপে রাখা হলে তারপর যখন প্রস্রাব করা হয়, তখন তাতে ফেনা দেখা যেতে পারে। কারণ, লম্বা সময় চেপে রাখার পর প্রস্রাব করার সময় স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে প্রস্রাব হতে পারে।

বেশি গতিতে যেকোনো তরল কোথাও পড়লে ফেনা হতেই পারে। প্রস্রাব করার ক্ষেত্রেও এটা স্বাভাবিক।

প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন বেরিয়ে গেলে সাদাটে ফেনা দেখা যায়।

বিভিন্ন রোগ, যেসবে কিডনির কার্যক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়, সেসবের কারণে হতে পারে এমনটা।

পানিশূন্যতায় ভুগলেও কিছুটা ফেনা দেখা যেতে পারে।

আরও পড়ুনএক ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখার পরিণাম কী হতে পারে, জানেন?০৭ জুন ২০২৫কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে

প্রস্রাবে ফেনা হলেই যে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তা নয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির মাঝেমধ্যে প্রস্রাবে কিছুটা ফেনা হতেই পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই।

যদি প্রস্রাবে অনেক বেশি ফেনা হয় কিংবা ফেনার মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। অনেক বেশি ফেনা হলে এমনটা হতে পারে যে একবার ফ্লাশ করার পরও ফেনা দূর হলো না।

টানা দীর্ঘদিন কম পরিমাণে ফেনা গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীর ক্ষেত্রে টানা বেশ কিছুদিন প্রস্রাবে অল্প পরিমাণ ফেনা দেখা দেওয়ার এই লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে প্রোটিন যাওয়াও মারাত্মক। তাই এসব লক্ষণের ব্যাপারে সতর্ক থাকা ভালো।

আগে থেকেই যাঁদের কিডনির রোগ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও যদি এমন লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসককে জানান।

আরও পড়ুনকিডনি ভালো আছে কি না, বুঝবেন যেভাবে০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫যদি ভয়ের কিছু না হয়

খেয়াল রাখুন, প্রস্রাব যাতে চেপে রাখা না হয় লম্বা সময়ের জন্য। এভাবে প্রস্রাব চেপে রাখার জন্য ফেনা হওয়া ক্ষতিকর না হলেও এই অভ্যাসের কারণেই আপনি ভুগতে পারেন প্রস্রাবের সংক্রমণে। তা থেকেই সৃষ্টি হতে পারে অন্যান্য জটিলতা।

ফেনার সঙ্গে যদি প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া কিংবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে তা পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে পানি এবং তরল খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত পানি খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে।

আগে থেকে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুনদিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক২৬ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস র ব র চ ক ৎসক র পর ম ণ র পর ম

এছাড়াও পড়ুন:

মনামী ‘লক্ষ্মী’ না কি ‘দুষ্টু’ মেয়ে?

বহুল আলোচিত ‘বেলাশেষে’ সিনেমায় ‘পিউ’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। আবার সৃজিতের ‘পদাতিক’ সিনেমায় প্রখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের স্ত্রী ‘গীতা’ চরিত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আর তার শরীরি সৌন্দর্যের বয়ান নিষ্প্রয়োজন।

আলোচিত মনামী ঘোষ নিজেকে ‘লক্ষ্মী মেয়ে’ বলে দাবি করেছেন। কী কারণে এমনটা দাবি করেছেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘ষড়রিপু’খ্যাত এই তারকা অভিনেত্রী। 
   
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনামী ঘোষ বলেন, “বরাবরই আমি লক্ষ্মী মেয়ে। আমি ভালো শ্রোতা। সবার কথা মন দিয়ে শুনি, গুরুজনেরা বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা কোনো পরামর্শ দিলে সেটা অবশ্যই শুনি। কিন্তু কোনটা ভালো পরামর্শ, কোনটা খারাপ পরামর্শ সেটাও খুব ভালোভাবে বুঝি। আমার উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সবটা শুনে আমি আমার বিচার-বিবেচনা, যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিই। এ ক্ষেত্রে আমি লক্ষ্মী মেয়ের পাশাপাশি দুষ্টুও বটে!” 

আরো পড়ুন:

শাহরুখপুত্রের হাত ধরে নায়িকার ভাগ্যবদল

কত টাকার সম্পদ রেখে গেছেন গায়ক জুবিন?

 

ঘরের কাজে পারদর্শী নন মনামী, যা ‘লক্ষ্মী মেয়ের’ মতো অকপটে স্বীকার করেন। মনামীর ভাষায়—“ঘরকন্নার কাজে যদিও খুব একটা পারদর্শী নই। তবে আমাকে কেউ ঘর গুছিয়ে দিতে বললে, আমি সেটা গুছিয়ে রাখতে পারব। কিন্তু প্রতিদিন একই কাজ করতে পারব না। আমি দু-এক দিন হয়ত স্পেশাল রান্না করে খাওয়াতে পারব। কিন্তু সেটা নিয়মিত আমার দ্বারা হবে না। সেক্ষেত্রে আমি দারুণ দারুণ খাবার অর্ডার করে দিতে পারব! এইরকম ‘লক্ষ্মী’-‘অলক্ষ্মী’ এর মিশেলেই আমি।” 

‘লক্ষ্মী মেয়ের’ বেশ কিছু বৈশিষ্ট উল্লেখ করেছেন মনামী। তার মতে, “বাড়িতে প্রতিবারই লক্ষ্মীপূজা হয়। এ বছরও লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করেছি। আমার কাছে লক্ষ্মীমন্ত মেয়ের সংজ্ঞা মানে যে, সবটা সুন্দর করে ব্যালেন্স করতে পারে। ঘরে-বাইরে সমান তালে কাজ করে যে মেয়ে। শত সমস্যাতেও মাথা ঠান্ডা রেখে সমাধান করতে পারে। যার সঙ্গে কথা বললে, মন ভালো হয়ে যায়। এমন অনেক লক্ষ্মীরা কিন্তু ছড়িয়ে আছেন আমাদের চারপাশে। খুব নিষ্ঠার সঙ্গে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করি।” 

 

‘লক্ষ্মী মেয়ে’ নিয়ে কথা বলতে বলতে, নিজের কাজের খবরও জানান মনামী। এ অভিনেত্রী বলেন, “অভিনয়ের পাশাপাশি সদ্য আমার মিউজিক ভিডিও লঞ্চ করেছি। তাই কাজের ক্ষেত্রেও লক্ষ্মীলাভের হিসাব অবশ্যই রাখতে হয়। তবে মিউজিক ভিডিও থেকে আমার খুব একটা যে লক্ষ্মীলাভ হয়, এমনটা নয়। সর্বোপরি সবসময় যে লক্ষ্মীলাভের আশায় কাজ করি এমনটাও নয়। মনের খিদে মেটানোর জন্য ‘আইলো উমা বাড়িতে’ বা ‘কল্কি’ এর মতো মিউজিক ভিডিও উপহার দিয়েছি। আমার বিশ্বাস, দর্শকের ভালোবাসা এবং মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকলে লক্ষ্মীলাভ হবেই।”

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতের ডিডি বাংলার ‘সাতকাহন’ সিরিয়াল দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন মনামী। এরপর দুই যুগ ধরে টিভি সিরিয়াল, চলচ্চিত্র ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ‘সোনার হরিণ’, ‘এক আকাশের নিচে’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘বিন্নি ধানের খই’, ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘আমলকী’, ‘ইরাবতীর চুপকথা’ এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী।

 

২০০৪ সালে ‘কালো চিতা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন মনামী। তারপর ‘এক মুঠো ছবি’, ‘বক্স নাম্বার ১৩১৩’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’, ‘বেলাশেষে’, ‘মাটি’ ‘বেলাশুরু’, ‘পদাতিক’ এর মতো আলোচিত সিনেমায় কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। বলে রাখা ভালো, মনামীর গানের গলাও দারুণ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মনামী ‘লক্ষ্মী’ না কি ‘দুষ্টু’ মেয়ে?