মহাকাশ ভ্রমণের সময় চরম পরিবেশেও টিকে থাকে ব্যাকটেরিয়া
Published: 13th, October 2025 GMT
মহাকাশচারীদের জন্য বেশ ভালো একটি সংবাদ জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া মহাকাশ ভ্রমণের সময় চরম পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ব্যাকটেরিয়ার স্পোরগুলো মহাকাশ ভ্রমণের সময় স্বল্প সময়ের জন্য মাইক্রোগ্র্যাভিটি (শূন্য মাধ্যাকর্ষণ) ও দ্রুত গতি কমে আসার মতো অবস্থা সহ্য করতে পেরেছে।
এনপিজে মাইক্রোগ্র্যাভিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, ব্যাকটেরিয়া মানব স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। মহাকাশচারীদের জন্য ব্যাকটেরিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা জানার জন্য অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ব্যাসিলাস সাবটিলিস নামক ব্যাকটেরিয়ার স্পোর মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেন। পরে তা আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। ব্যাকটেরিয়ার স্পোরগুলো দ্রুত ত্বরণ, স্বল্প সময়ের জন্য মাধ্যাকর্ষণ চাপ সহ্য করতে পেরেছে।
ব্যাকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্র মহাকাশে কেমন হয়, তা জানতে অনেক বছর ধরেই গবেষণা করছে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা। এ বিষয়ে আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এলেনা ইভানোভা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া দ্রুত মহাকর্ষীয় পরিবর্তন, ত্বরণ ও মাধ্যাকর্ষণ চাপ সহ্য করতে পারে। আমাদের শরীরে বসবাসকারী ও আমাদের সুস্থ রাখা ব্যাকটেরিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ ভ্রমণের প্রভাব সম্পর্কে নতুন কিছু জানার সুযোগ হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমরা নভোচারীদের দীর্ঘ মিশনে সুস্থ রাখার জন্য আরও ভালো লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মহাকাশে পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াকে পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের প্রায় ১৩ গুণ সর্বোচ্চ ত্বরণের মুখোমুখি করা হয়। রকেট যখন প্রায় ২৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন মূল ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ফলে ছয় মিনিটের জন্য প্রায় ভারহীন পর্যায় শুরু হয়। অবতরণের সময় রকেটটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২২০ বার ঘোরার পাশাপাশি ৩০ গুণ পর্যন্ত মাধ্যাকর্ষণ চাপ অনুভব করে।
আরএমআইটির মহাকাশ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক গেইল আইলস জানান, এই গবেষণা জীবন কীভাবে কঠোর পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারে, সে সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া উচ্চ ত্বরণ, প্রায় ভারহীন ও বেশি চাপ সহ্য করতে পারে বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে। এতে নভোচারীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরও কাজের সুযোগ বাড়বে।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহ য করত র জন য ত বরণ
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশ ভ্রমণের সময় চরম পরিবেশেও টিকে থাকে ব্যাকটেরিয়া
মহাকাশচারীদের জন্য বেশ ভালো একটি সংবাদ জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া মহাকাশ ভ্রমণের সময় চরম পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ব্যাকটেরিয়ার স্পোরগুলো মহাকাশ ভ্রমণের সময় স্বল্প সময়ের জন্য মাইক্রোগ্র্যাভিটি (শূন্য মাধ্যাকর্ষণ) ও দ্রুত গতি কমে আসার মতো অবস্থা সহ্য করতে পেরেছে।
এনপিজে মাইক্রোগ্র্যাভিটি সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়েছে, ব্যাকটেরিয়া মানব স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। মহাকাশচারীদের জন্য ব্যাকটেরিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা জানার জন্য অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ব্যাসিলাস সাবটিলিস নামক ব্যাকটেরিয়ার স্পোর মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেন। পরে তা আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। ব্যাকটেরিয়ার স্পোরগুলো দ্রুত ত্বরণ, স্বল্প সময়ের জন্য মাধ্যাকর্ষণ চাপ সহ্য করতে পেরেছে।
ব্যাকটেরিয়ার বাস্তুতন্ত্র মহাকাশে কেমন হয়, তা জানতে অনেক বছর ধরেই গবেষণা করছে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা। এ বিষয়ে আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী এলেনা ইভানোভা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া দ্রুত মহাকর্ষীয় পরিবর্তন, ত্বরণ ও মাধ্যাকর্ষণ চাপ সহ্য করতে পারে। আমাদের শরীরে বসবাসকারী ও আমাদের সুস্থ রাখা ব্যাকটেরিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ ভ্রমণের প্রভাব সম্পর্কে নতুন কিছু জানার সুযোগ হয়েছে। ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমরা নভোচারীদের দীর্ঘ মিশনে সুস্থ রাখার জন্য আরও ভালো লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মহাকাশে পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াকে পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের প্রায় ১৩ গুণ সর্বোচ্চ ত্বরণের মুখোমুখি করা হয়। রকেট যখন প্রায় ২৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন মূল ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার ফলে ছয় মিনিটের জন্য প্রায় ভারহীন পর্যায় শুরু হয়। অবতরণের সময় রকেটটি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২২০ বার ঘোরার পাশাপাশি ৩০ গুণ পর্যন্ত মাধ্যাকর্ষণ চাপ অনুভব করে।
আরএমআইটির মহাকাশ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক গেইল আইলস জানান, এই গবেষণা জীবন কীভাবে কঠোর পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারে, সে সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া উচ্চ ত্বরণ, প্রায় ভারহীন ও বেশি চাপ সহ্য করতে পারে বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে। এতে নভোচারীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরও কাজের সুযোগ বাড়বে।
সূত্র: এনডিটিভি