বগুড়ায় রোগনির্ণয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে নারীর সংবাদ সম্মেলন
Published: 13th, October 2025 GMT
বগুড়ার একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রের (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) ভুল আলট্রাসনোগ্রাফি প্রতিবেদনের (রিপোর্ট) কারণে দ্বিতীয় দফা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। প্রয়োজন না থাকলেও অস্ত্রোপচার করায় তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন।
শিমু আকতার নামের ওই নারী একজন স্কুলশিক্ষক ছিলেন। আজ সোমবার বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার বগুড়া শাখার ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।
তবে এই সংবাদ সম্মেলনকে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন ইবনে সিনা বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক শওকত আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর অভিযোগ নিয়ে দুই দফা তদন্ত হয়েছে। প্রথম দফা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাস তিনেক আগে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগকারী, অভিযুক্ত দুজন চিকিৎসক এবং ইবনে সিনার পক্ষ থেকে তিনি অভিযোগ খণ্ডন করে লিখিত বক্তব্য দেন। এরপর মাসখানেক আগেও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত আরেকটি তদন্ত কমিটি অনুরূপভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই অভিযোগকারীর সংবাদ সম্মেলন করাটা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার শামিল। আলট্রাসনোগ্রাফি প্রতিবেদন ভুল ছিল কি না, সেটা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জানা যাবে। প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বগুড়া শহরেরর বাসিন্দা শিমু আকতার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পেটে ব্যথাজনিত সমস্যা নিয়ে গত বছরের ১৬ মার্চ শহরের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই চিকিৎসক তাঁকে আলট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। ২১ মার্চ তিনি শহরের ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রে আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। সেখানে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কথা উল্লেখ করা হয়।
২০০৩ সালে তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচার করেছিলেন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, পরে তিনি গত বছরের ২৬ মার্চ বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (সার্জন) আবদুল হালিমের কাছে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারে ওই চিকিৎসক কোনো অ্যাপেন্ডিক্স পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী আরও বলেন, ভুল প্রতিবেদনের কারণেই দ্বিতীয় দফা তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এতে তাঁর শরীরে বড় ক্ষত হয়েছে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর তিনি ইবনে সিনা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ বছরের ৪ মার্চ জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতেও কাজ না হওয়ায় পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কনসালট্যান্ট আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, শহরের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে দেওয়া আলট্রাসনোগ্রাফি প্রতিবেদনে ওই নারীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। শহরের বেসরকারি একটি ক্লিনিকে বিনা মূল্যে তিনি অস্ত্রোপচার করেন। পরে নিশ্চিত হন, ওই নারীর অ্যাপেন্ডিসাইটিস ছিল না।
সদ্য যোগ দেওয়া বগুড়ার সিভিল সার্জন এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউ তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ করে থাকলে ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য প ন ড স ইট স চ ক ৎসক স র জন ওই ন র তদন ত প রথম বছর র শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষুধা কোনো অভাবের কারণে নয়, এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতা। আমাদের এই ব্যবস্থা বদলাতে হবে।’
গতকাল সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরাম (ডব্লিউএফএফ) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৈশ্বিক খাদ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারের ছয় দফা প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস প্রথমেই বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, সংলাপ শুরু করুন এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে খাদ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন’—এর মাধ্যমে ক্ষুধা ও সংঘাতের দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকে থাকার সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করতে হবে। তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, আঞ্চলিক খাদ্যব্যাংক গঠন করে খাদ্য সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল রাখতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অর্থায়ন, অবকাঠামো ও বৈশ্বিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে সহায়তা দিতে হবে। পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাণিজ্যনীতিকে খাদ্যনিরাপত্তার সহায়ক হতে হবে, বাধা নয়। ষষ্ঠ প্রস্তাবে বলেন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের তরুণ কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল অথচ আমরা যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন করেছি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়—এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, নৈতিক ব্যর্থতা।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা দূর করতে যেখানে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করা যায়নি, সেখানে অস্ত্র কিনতে বিশ্ব ব্যয় করেছে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। একে কি আমরা অগ্রগতি বলব?’
অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। পুরোনো মুনাফাভিত্তিক ব্যবসাপদ্ধতি কোটি কোটি মানুষকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এমন এক নতুন ব্যবসাপদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে—সামাজিক ব্যবসা, যা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য নয়, বরং সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর স্বপ্নের ‘তিন শূন্য বিশ্ব’ (শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ) ধারণা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এটি কোনো কল্পনা নয়, এটি অপরিহার্য—বিশ্ব বাঁচানোর একমাত্র পথ।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসার সাফল্য আমরা দেখেছি। গ্রামীণ ব্যাংক দেখিয়েছে, দরিদ্র নারীরাও উদ্যোক্তা হতে পারেন। গ্রামীণ ডানন শিশু অপুষ্টির বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিশ্বজুড়ে এমন বহু সামাজিক ব্যবসা মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ, নারী, কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের সহায়তায় সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠন করতে হবে। এই ধরনের উদ্যোগের জন্য আইনগত ও আর্থিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, বাধা নয়।’
তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আজকের তরুণ প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক বেশি সংযুক্ত, সৃজনশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর। তাদের চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না, বরং চাকরি সৃষ্টির ক্ষমতায়ন করুন।’ তিনি বলেন, ‘তরুণদের বিনিয়োগ তহবিল ও সামাজিক ব্যবসা তহবিলের মাধ্যমে মূলধনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। কৃষি-উদ্ভাবন কেন্দ্র, কৃষিপ্রযুক্তি, চক্রাকার খাদ্যব্যবস্থা ও জলবায়ু–স্মার্ট উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দিতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘যুবসমাজের ওপর বিনিয়োগ করলে শুধু বিশ্বকে খাদ্য দিতে পারব না, বিশ্বকেই বদলে দিতে পারব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জোটের (গ্লোবাল অ্যালায়েন্স এগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা এফএও ও জি-২০-এর সঙ্গে মিলিতভাবে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি আহ্বান জানান, ‘আসুন, একটি তিন শূন্য বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ফোরামের তিনটি স্তম্ভ—যুব, বিজ্ঞান ও বিনিয়োগ—শুধু স্লোগান নয়, এটি আমাদের খাদ্যব্যবস্থা ও সমাজ রূপান্তরের প্রধান হাতিয়ার।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বে সম্পদ ও প্রযুক্তি রয়েছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি আসবে। এখন দরকার সৃজনশীল চিন্তা ও সঠিক ব্যবসাকাঠামো—যার মাধ্যমে আমরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব। আমরা যদি কল্পনা করতে পারি, আমরা তা বাস্তবেও সৃষ্টি করতে পারব।’
বক্তৃতার শুরুতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এফএওর ৮০ বছর পূর্তি শুধু উদ্যাপন নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির আহ্বান। তিনি বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘হাত ধরে হাতে, উন্নত খাদ্য ও উন্নত ভবিষ্যতের পথে—আমাদের মনে করিয়ে দেয়: খাদ্য শুধু ক্যালরির ব্যাপার নয়, এটি মর্যাদার, ন্যায়ের এবং আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করতে চাই তার প্রতিচ্ছবি।’ তিনি এফএওর নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী খাদ্যনিরাপত্তা ও শান্তি জোটের প্রশংসা করে বলেন, এটি ভবিষ্যতেও বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তরুণেরা সাহস ও আশায় ভরপুর হয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাদের দাবি ছিল ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া; ন্যায়, অন্তর্ভুক্তি ও আস্থার ভিত্তিতে সমাজ গঠন।’
প্রধান উপদেষ্টা যোগ করেন, ‘এই তরুণেরাই এখন নতুন বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে—যেখানে জনগণ শাসনের কেন্দ্রে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে আমরা ন্যায় ও জনগণের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করছে এবং মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় ও খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছি ধান, সবজি ও স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে। কৃষকেরা ফসলের নিবিড়তা ২১৪ শতাংশে উন্নীত করেছেন এবং আমরা জলবায়ু সহনশীল ১৩৩ প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছি।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করেছি, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, শক্তিশালী খাদ্য বিতরণব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, অপুষ্টি কমিয়েছি, খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য এনেছি এবং কৃষিকে সবুজ করেছি—মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছি।’
প্রধান উপদেষ্টাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
ইতালির রাজধানী রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের (ডব্লিউএফএফ) ফ্ল্যাগশিপ আয়োজনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি।
সোমবার রোমে এফএও সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু ডংইউ