সব রাজনীতিকই যে নিজেদের নিয়ে আঁকা ব্যঙ্গচিত্রকে ঘৃণা করেন, তা নয়। কেউ কেউ বরং সেগুলো পছন্দ করেন, হাসিমুখে অফিসের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেদের মানবিক দুর্বলতাকে স্বীকার করার সাহস দেখান।

কিন্তু যাঁরা তা পারেন না, তাঁরাই আসলে স্বৈরশাসক। কারণ, স্বৈরশাসনের ভিত্তি হলো ব্যক্তিপূজা। এটি এমন এক মিথ, যা বলে—শাসক সর্বজ্ঞ, অজেয়, ভুলহীন। কিন্তু সেই মিথের একটিমাত্র ছিদ্র বা ফোকর; সেই মিথ নিয়ে একটিমাত্র বিদ্রূপই অনেক সময় স্বৈরশাসকের ক্ষমতার আসন কাঁপিয়ে দিতে যথেষ্ট হয়ে ওঠে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলেও তাঁর মনের ভেতর আছে এক স্বৈরাচারের স্থায়ী ছায়া। ট্রাম্প ঠাট্টা সহ্য করতে পারেন না। বলা হয়, ২০১১ সালের এক রাতে হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্টস ডিনারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সবার সামনে তাঁকে নিয়ে রসিকতা করেছিলেন। সেদিন ট্রাম্পের ভেতরে যে অভিমান জমেছিল, তা থেকেই নাকি তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিজ্ঞা জন্ম নিয়েছিল।

ট্রাম্প তখন কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু আজ ক্ষমতার আসনে বসে তিনি তাঁদের স্তব্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন, যাঁরা তাঁকে নিয়ে হাসেন, যাঁরা তাঁকে নিয়ে মশকরা করেন।

গত মাসেই ডিজনির মালিকানাধীন এবিসি নেটওয়ার্কের জনপ্রিয় রাতের অনুষ্ঠান থেকে উপস্থাপক জিমি কিমেলকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শোনা যায়, ট্রাম্পের কড়া সমালোচক কিমেল এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করার পর ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যান এবিসিকে চাপ দেন। ফলে কিমেলকে বাদ দেওয়া হয়। ট্রাম্প তখন আনন্দে বলে ওঠেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দারুণ খবর।’

মার্কিন টিভি উপস্থাপক জিমি কিমেল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সফর দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ইতালির রোমে স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য ফোরামের (ডব্লিউএফএফ) অনুষ্ঠানের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট তাঁর এই আগ্রহের কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই তথ্য জানান।

এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুই নেতা এফএও সদর দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে সামাজিক ব্যবসা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, দারিদ্র্য মোকাবিলায় কৌশলসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট লুলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানান মুহাম্মদ ইউনূস। লুলা দা সিলভা আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাব।’ মুহাম্মদ ইউনূস তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘দারুণ হবে।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ