সিলেটে এবারও নির্বাচনী মাঠে অর্ধশতাধিক প্রবাসী, অধিকাংশই ‘জনবিচ্ছিন্ন’
Published: 17th, October 2025 GMT
সিলেটে সব ধরনের নির্বাচনেই প্রবাসী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে প্রবাসী প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। বিভাগের চারটি জেলায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন অর্ধশতাধিক প্রবাসী। তবে তাঁদের বেশির ভাগই ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
প্রবাসী–অধ্যুষিত সিলেট বিভাগে ভোট এলেই অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দেন। বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন অনেক প্রবাসী। এবারও কেউ কেউ বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকটি আসনে প্রবাসীদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দুটি ইসলামি দল। তবে এলাকার সঙ্গে ‘সম্পর্কহীন’ প্রবাসীদের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যে ক্ষোভও আছে।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক প্রবাসী নিজেদের এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁরা এলাকাবাসীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং নিয়মিত দেশেও আসেন। এমন প্রার্থীদের ভোটের মাঠে গুরুত্ব আছে। তবে এলাকার সঙ্গে যোগাযোগহীন থাকলেও অনেকে নির্বাচনের সময় টাকার জোরে সমর্থক তৈরি করে ফেলেন। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেলে ভোটারদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শাহ সাহেদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় নির্বাচন কিংবা সংসদ নির্বাচন সবখানেই প্রবাসীরা অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো প্রার্থী হন। হাতে গোনা কয়েকজন প্রবাসী ছাড়া অধিকাংশই জনবিচ্ছিন্ন। শুধু টাকার জোরে তাঁরা আলোচনায় আসেন। এলাকার সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রার্থীদের সব দলেরই বর্জন করা উচিত।
যেসব প্রবাসী প্রার্থী হতে ইচ্ছুক
গত ১১ জুলাই সিলেট নগরে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগের চারটি জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে খেলাফত মজলিস। তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রার্থীদের পাঁচজনই প্রবাসী। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় তিনজন এবং সিলেট ও মৌলভীবাজারে একজন করে প্রার্থী।
খেলাফত মজলিসের প্রবাসী প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ–৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে লন্ডন মহানগর শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুশতাক আহমদ, সুনামগঞ্জ–৪ (সদর–বিশ্বম্ভরপুর) আসনে যুক্তরাজ্যের লুটন শাখার সহ–সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ–৫ (ছাতক–দোয়ারাবাজার) আসনে লন্ডন মহানগরের সহসভাপতি আবদুল কাদির। এ ছাড়া সিলেট–৬ (বিয়ানীবাজার–গোলাপগঞ্জ) আসনে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ শাখার সভাপতি সাদিকুর রহমান ও মৌলভীবাজার–১ (জুড়ী–বড়লেখা) আসনে কাতার শাখার সহসভাপতি লুকমান আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এদিকে সিলেট–২ (বিশ্বনাথ–ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হুমায়ুন কবির মনোনয়ন পেতে তৎপর আছেন। এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সংগঠনটির যুক্তরাজ্য শাখার সহসভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদকে প্রার্থী করেছে।
সিলেট–৩ (দক্ষিণ সুরমা–বালাগঞ্জ–ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো.
সিলেট–৪ (গোয়াইনঘাট–কোম্পানীগঞ্জ–জৈন্তাপুর) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হেলাল উদ্দিন আহমদ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। সিলেট–৫ (জকিগঞ্জ–কানাইঘাট) আসনে সম্ভাব্য সাত প্রবাসী প্রার্থীর নাম জানা গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সামিরা তানজিম চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাহিদুর রহমান ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. নূরুজ্জামান বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান।
সিলেট–৬ আসনে আট প্রবাসী প্রার্থী আলোচনায় আছেন। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটসের সাবেক ডেপুটি মেয়র এ এন এম ওহিদ আহমেদ, যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটসের কাউন্সিলর সাবিনা খান ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ–১ (তাহিরপুর–জামালগঞ্জ–ধর্মপাশা–মধ্যনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দী। সুনামগঞ্জ–২ (দিরাই–শাল্লা) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী তাহির রায়হান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এ ছাড়া এখানে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী। তাহির রায়হান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দেশেই থাকি সব সময়। মাঝেমধ্যে যুক্তরাজ্য যাই। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে আছি। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা মেটাতে অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে কাজ করে চলেছি।’
সুনামগঞ্জ–৩ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের নাম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে। সুনামগঞ্জ–৪ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী সোহেল দলীয় মনোনয়ন চান।
এদিকে হবিগঞ্জ–১ (নবীগঞ্জ–বাহুবল) আসনে তিন প্রবাসী প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক নেতা তালহা চৌধুরী প্রমুখ। হবিগঞ্জ–২ (বানিয়াচং–আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব মনোনয়নপ্রত্যাশী। আহমেদ আলী মুকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১৭ বছর এলাকার মানুষের পাশে নানাভাবে দাঁড়াচ্ছি। করোনা, বন্যাসহ মানুষের দুঃখে সব সময় পাশে আছি। গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যেসব দলীয় নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের পরিবারের খোঁজখবরের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা করেছি। দলীয় নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। তবে দল যেটা সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই মেনে নেব। আমার স্লোগান হচ্ছে, ধানের শীষ যার হাতে, আমরা তার সাথে।’
এদিকে মৌলভীবাজার–১ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মুদাব্বির হোসেন, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে আছেন দলটির আরব আমিরাত শাখার সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ইয়াহইয়া।
মৌলভীবাজার–২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান সাত প্রবাসী। তাঁরা হলেন যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের সভাপতি সাইফুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুবায়ের আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল আহাদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদ, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এম রওশন আলী এবং জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিদ্দিক হোসাইন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ছাত্র জমিয়তের সাবেক নেতা মাওলানা শাহ মাশুকুর রশীদ আছেন।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল–কমলগঞ্জ) আসনে প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা জালাল আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাবেক যুবদল নেতা তোফায়েল লিটন চৌধুরী বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। এখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ নূরে আলম হামিদি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স ব ক ও য ক তর জ য য ক তর ষ ট র স ন মগঞ জ র উপদ ষ ট ক প রব স এল ক র হ স ইন ইসল ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৬৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা অনুষদের ৩ বছরের (২০২১, ২০২২ ও ২০২৩) ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের, বন্ধু আহত
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে ৩ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারামারি, বহিষ্কার ৮
অনুষদের ১৭টি বিভাগের মোট ১৫৬ জন শিক্ষার্থী এবং দেশে/বিদেশে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত মৌলিক প্রবন্ধের জন্য চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার ছিলেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের মাহফুজা মাহবুব, ইংরেজি বিভাগের জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান এবং তাশরিফা ফাইরুজ, আরবী বিভাগের মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী এবং মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মাহদি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার এবং শান্তা আক্তার, উর্দু বিভাগের সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম এবং মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান, সংস্কৃত বিভাগের অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস এবং তমা রাণী সরকার, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার এবং প্রতিভা চাকমা, ইতিহাস বিভাগের মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা এবং রূপম রোদ্দর, দর্শন বিভাগের সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা এবং মো. ইমরান হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির এবং মো. নুর আলম, খায়রুন নেসা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোসা. শাহিনা খাতুন, রুজেল মিয়া, মো. রুমন হোসাইন, জিনাত আরা মুনা, জাহানারা, আফসানা নূর ফাবি, রেশমা আক্তার, ইশিতা খাতুন, মো. তৌহিদুল ইসলাম, হোসনে আরা, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, আবু আহমদ মুহিবুল্লাহ এবং সাফা আহমদ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের মণীষা সাহা, কাজী মোস্তফা জামান, আশিক রায়হান, সানজিদা ইসলাম বুশরা, ফারিহা তাসনিম শ্রুতি এবং মো. হাসনাইন, থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নিকিতা আজম , মোসা. নাসরিন সুলতানা, রিফাত করবী, তাহসিন নূর মৃত্তিতা, মুনিরা মাহজাবিন, মো. আশরাফুল ইসলাম, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মো. আল মামুন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নওয়াজ শরিফ শুভ, প্রজ্ঞা সাহা, স্মৃতি আক্তার, মো. শাহাজালাল বাদশা, শুদ্ধ এম তৌসিফ এবং শাশ্বত সরকার, সংগীত বিভাগের কমল দত্ত, নূরে জান্নাত আফরিস, অর্পিতা দে এবং নুসরাত জাহান। বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের লুৎফন নাহার, অমৃতা পাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাগিব আনজুম, দেবাশিস দাস, সুস্ময় দেব বর্মন এবং শিখা রাণী দাস, নৃত্যকলা বিভাগের মূর্ছনা দেবনাথ, লাবনী বন্যা, রিফাহ তাসনিয়া তিশান, সুরাইয়া কবির এবং তন্বি সরকার।
ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, ড. মো. মুমিত আল রশিদ, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ড. শাফী মো. মোস্তফা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. শান্টু বড়ুয়া এবং ইংরেজি বিভাগের ড. কামরুল হাসান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “মেধাকে মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একই সঙ্গে অভিভাবকদেরও আমরা সঙ্গে রাখতে পেরেছি। আসলে আপনারাও আমাদেরই অংশ।”
তিনি বলেন, “মেধার অন্যতম ভিত্তি হলো পরিশ্রম। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পেছনে অনেকের অবদান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের যে পরম্পরা, তা তোমরা ধরে রেখেছো। এটাই আমাদের গর্ব।”
তিনি আরো বলেন, “অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা পড়াশোনাকে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি দিতে পেরেছি। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও শিক্ষাজীবনের ভারসাম্যই ভবিষ্যৎকে আরো সমৃদ্ধ করবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী