সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ; ভাঙচুর, আগুন
Published: 17th, October 2025 GMT
নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে গভীর রাতে সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভের পর সকালে প্রাচীর টপকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন শতাধিক ব্যক্তি। পুলিশ কর্মকর্তা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের কথায়ও তাঁরা সরছিলেন না। পরে পুলিশ জোর করে তাঁদের তুলে দেয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান; ভাঙচুর করেন পুলিশের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি, আগুন জ্বালান সড়কে। দুই ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর বৃষ্টির মধ্যে বিকেলের আগে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিক্ষুব্ধদের ঢিল ছোড়াছুড়ি, পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানোর মধ্যে উভয় পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হন।
এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে ওই মঞ্চেই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়, যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যদেরও তার আগে ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে দেখা যায়।
এর আগে দুপুরেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার একটি ধারা সংশোধনের কথা জানান। ওই ধারাটি নিয়ে আপত্তি ছিল ‘জুলাই যোদ্ধা’দের।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চ সাজানোর মধ্যে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসংলগ্ন ফটকে অবস্থান নেন। জুলাই আন্দোলনে অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা, পুনর্বাসন বাস্তবায়নের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের বেশির ভাগই একই রঙের পোশাক ও টুপি পরা ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সকালে এই বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের সেই ফটক (১২ নম্বর গেট) টপকে ভেতরে ঢুকে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ একবার এসে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর ধারাটি সংশোধনের কথা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারাও তাঁদের অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার অনুরোধ করেন। তারপরও বিক্ষোভকারীরা অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ছিলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া একটার দিকে মঞ্চের সামনে থেকে জুলাই যোদ্ধাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাধা দিলে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের লাঠিপেটাও করেন। সংসদ গেট থেকে বের করে দেওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে পুলিশের ওপর ইট ছুড়তে শুরু করেন। তাঁরা পুলিশের অন্তত পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেন।
একপর্যায়ে বিক্ষোভের মধ্য থেকে একদল লোক আবার মঞ্চের দিকে ঢুকে পড়েন। পুলিশ আবার তাঁদের সরিয়ে দেয়। তারপর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে।
বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও ফার্মগেট খামারবাড়ি মোড় গোলচত্বরের পাশে সড়কে থাকা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের প্রতিবন্ধক, টায়ার ও কাঠে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। বিক্ষোভকারীদের আরেকটি দলকে আসাদ গেটের দিকে হটিয়ে দেয় পুলিশ।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দুই ঘণ্টা পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার সময় খামারবাড়ির দিকে থাকা বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে মাজহারুল ইসলাম আপন নামের একজন এসে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারী আর কেউ ইট ছুড়বেন না। পুলিশ যাতে আর সামনে না যায়। তাঁরা জিয়া উদ্যানের দিকে যেতে চান। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ তাঁদের জিয়া উদ্যানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
বিক্ষোভকারীদের আরেকটি অংশ আসাদ গেটের দিকে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তাদের পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত নিয়ে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হলে পুলিশও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একসময় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। একটি অংশকে আসাদ গেটের দিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় সেখানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের পর আসাদ গেট ও ফার্মগেট এলাকায় সেনাসদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মো.
নিজেকে জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দিয়ে রুবেল নামের এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেটায় তাঁদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আতিকুল গাজী (২০), সাইফুল ইসলাম (২৬), লাইলী আক্তার (২৫), কামরুল হাসান (২৯,) শরিফুল ইসলাম (২৯), সিনথিয়া (২১), আশরাফুল (২০), হাবিবউল্লাহ (৩০), শফিউল্লাহ (৩২), শাকিব (২৫), মো. লিটন (৩২), তানভীর (২২), দুলাল (৩০), কামাল (৩২), ওমর ফারুক (২৭), নুরুল হুদা (২৫), আখের উদ্দিন (২৮), মিজান (২৮), মোস্তাক বিপ্লব (২৭), আল আমিন (৩৪)।
আহত ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিজেদের জুলাই যোদ্ধা বলে দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীদের হামলায় একজন উপকমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে বাধ্য হয় জানিয়ে উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, তবে সংঘর্ষের সময় কাউকে আটক করা হয়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স উন ড গ র ন ড কর মকর ত পর স থ ত আস দ গ ট র স মন স ঘর ষ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিকে রাজি করাতে শেষ সময়েও সরকারের নানা চেষ্টা
জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া সনদে সই করবে না এনসিপি। বৃহস্পতিবার সকালে দলটির এমন ঘোষণার পর শুক্রবার বিকেলের অনুষ্ঠানে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও জোরালো হয়েছে।
তবে এনসিপিকে রাজি করাতে বৃহস্পতিবার দিনভর সরকারের দিক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা চেষ্টা ও তৎপরতা চলেছে। সর্বশেষ রাতেও এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সরকারের একাধিক উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এনসিপি কিছুটা নমনীয় হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, দলটির নেতারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সনদে সই করবেন। তবে এ বিষয়ে রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনসিপির দিক থেকে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আট মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর প্রস্তুত করা জুলাই সনদে সই করার জন্য শুক্রবার ১৭ অক্টোবর দিন ধার্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর দুই দিন আগে মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন এনসিপির শীর্ষ নেতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এনসিপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ আলাপে যুক্ত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মাহফুজ আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কেউ না হলেও তিনি এনসিপির বিষয়ে প্রভাব রাখেন।
এনসিপির নেতাদের কাছে তাঁর গুরুত্ব আছে। তাঁরা দলটির পক্ষ থেকে জানান, ‘সংবিধান আদেশ’ জারির মাধ্যমে সংস্কারপ্রক্রিয়া না এগোলে এনসিপি সনদে সই করবে না। তাঁরা সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে নতুন করে আলোচনা শুরু করার পক্ষেও মত দেন। তাঁরা চান সংবিধান স্থগিত করে বিশেষ আদেশ (প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করা হোক এবং সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে।
এনসিপির এমন অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতিতে সনদ স্বাক্ষর নিয়ে সংশয়ে পড়ে ঐকমত্য কমিশন। তারা ৩০টি দলকে চিঠি দিয়ে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক করে। সন্ধ্যার ওই বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন সনদ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত দলের আগের অবস্থান তুলে ধরেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে এনসিপি সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা হবে। তিনি বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে সেটা মূল্যহীন হবে। এ কারণে শুক্রবারের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না এনসিপি।
আগের দিন বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নাহিদ ইসলামের বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সকালের এমন বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এমন অবস্থায় সরকারের দিক থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। তাদের জুলাই সনদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্মত করার চেষ্টা করা হয়।
সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকারের একজন উপদেষ্টার অনুরোধে দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানও এ বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। সনদে সই না করলে দেশের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, সে বিষয়টাও বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে রাতে সরকারের দুজন উপদেষ্টা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন নাহিদ ইসলামের সঙ্গে। প্রধান উপদেষ্টাও বিষয়টি নিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
মাহফুজ এনসিপির পদে না থাকলেও দলটির সঙ্গে তাঁর একধরনের যুক্ততা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই উপদেষ্টার সঙ্গে রাতে আলোচনার পর এনসিপির শীর্ষ নেতা কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। তবে এনসিপির ভেতরে এ বিষয়ে নানা মত ও চিন্তা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাতেই দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আলোচনা করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
অবশ্য এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁরা আশা করছেন, এনসিপিসহ সবাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। এমনকি শুক্রবারের পরও সনদে সই করার সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুনআইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম১২ ঘণ্টা আগেএদিকে সরকারের সঙ্গে রাতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার বিষয়ে জানতে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের জায়গা থেকে চেষ্টা আছে জুলাই সনদ স্বাক্ষরটা নির্বিঘ্নে হোক। কিন্তু আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো জুলাই সনদকেও এক দলের সনদে পরিণত করার চেষ্টা দেখছি। জুলাই সনদ স্বাক্ষরে রাজি করাতে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে সরকার। এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই।’